চৈতালীর ধারণা, মধ্য কলকাতার নার্সিংহোম নয়, ১৯৬০ সালের ৩ আগস্ট কলকাতার জল থই-থই মাঝরাতে ওয়েলিংটন স্কোয়ারের ঘাসের উপর তাঁকে ফেলে গেছে এক পরি, ডানার বৃষ্টিজল ঝাড়ার সময়। সে-ই তাঁর মানুষজন্ম। তারপর, উত্তর কলকাতার টানা বারান্দা, শান-বাঁধানো উঠোন, ময়ূরের খাঁচা আর মিশনারি স্কুলের চ্যাপেলের আবহে বড় হয়ে ওঠা। পারিবারিক না জটিলতা, ভয়-ভীতি টপকে-টপকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হয়েছেন তিনি। নামী বিজ্ঞাপন-সংস্থা, মহিলা-পত্রিকা ও নিউজ ম্যাগাজিনে চাকরি-করা, চাকরি-ছাড়ার অনিশ্চয়তা, এ-সবই তাঁর অনুসঙ্গ। চৈতালী চট্টোপাধ্যায় দুটি জাতীয় পুরস্কারসহ আরও চারটি পুরস্কার পেয়েছেন।