• খবরে জেন্ডার - ৮


    0    34

    December 15, 2017

     

    সুপ্রীম কোর্টের রায়ে নাবালিকা স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক মানেই তা ধর্ষণ

    গত ১১ অক্টোবর ২০১৭ সুপ্রীম কোর্ট ঘোষণা করে, যে নাবালিকা স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে, সম্মতি নিয়ে হোক বা না নিয়ে, তা ধর্ষণ বলেই বিবেচিত হবে। বিচারপতি মদন লোকুর এবং দীপক গুপ্তার বেঞ্চ এই রায় দেন। তাঁদের মতে, নাবালিকা মেয়েরও বাকিদের মত সমান মানবাধিকার আছে, এবং তা বিবাহিত হওয়া বা না হওয়ার উপর নির্ভর করতে পারে না।

    ওই দুই বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার (ধর্ষণ) ব্যতিক্রম ২-এর উল্লেখ করেন যেখানে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোনো বিবাহিত মেয়ের স্বামী তার অমতে শারীরিক সম্পর্কে গেলেও সেই সম্পর্ককে ধর্ষণের সংজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।

    বিচারপতি লোকুর বলেন, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোনও অবিবাহিত মেয়ে তার ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সাজা দাবি করতে পারলেও, ওই বয়সী একজন বিবাহিত মেয়ের পক্ষে বর্তমান আইন অনুযায়ী অভিযোগ জানানোও সম্ভব নয়। বিচারপতিরা স্পষ্ট ভাষায় জানান, একজন নাবালিকা মেয়ে পথশিশু হোক বা অনাথ, বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত কিংবা বিধবা, কোনও পরিস্থিতিতেই তার নাবালিকা পরিচয় নস্যাৎ করা যাবে না।

    এই রায় ঘোষণার মাধ্যমে ৩৭৫ ধারার এই স্ববিরোধীতা নিয়ে বহুদিন ধরে চলতে থাকা বিতর্কের অবসান ঘটলো।

    বিচারকরা এও জানান, ৩৭৫ ধারার ওই ব্যতিক্রমের ফলে একজন নাবালিকা মেয়ের নিজের শরীরের উপর অধিকার, সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও স্বীকৃত নয়। শুধু তাই নয়, ওই ব্যতিক্রমের সুযোগ নিয়ে দেশে বিভিন্ন জায়গায় যে পাচারের ঘটনা ঘটে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে দুই বিচারকের ১২৭ পাতার রায়ে।

    সুপ্রীম কোর্টের এই রায় অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক হলেও দুঃখের বিষয় হল, এই রায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের সাথে হওয়া বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বৈবাহিক ধর্ষণের কোনও আইনি স্বীকৃতি এতদিন পর্যন্ত ছিল না। অন্তত নাবালিকা মেয়েদের জন্য হলেও এই রায়ে প্রথমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত তা স্বীকার করল।

    সেনার বিধবা স্ত্রীরা পেলেন নিজের ইচ্ছেমতো পুর্নবিবাহের স্বাধীনতা, আর বঞ্চিত হতে হবেন না পেনশন থেকে

    গত ২১ নভেম্বর ২০১৭, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করে যে কোনও সেনাকর্মীর বিধবা স্ত্রী নিজের দেওর ছাড়া অন্য কাউকে পুনরায় বিবাহ করলেও প্রাক্তন স্বামীর পেনশন থেকে বঞ্চিত হবেন না।

    এতদিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী, প্রয়াত সেনাকর্মীদের স্ত্রীরা আমৃত্যু পেনশন পেতেন দুটি শর্তে—যদি তিনি পুনরায় বিবাহ না করেন, অথবা নিজের স্বামীর ভাইকে বিবাহ করেন।

    বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়মের বিরুদ্ধে মৃত সেনার পরিবারের মানুষজন আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। অবশেষে সেই বিরুদ্ধমতকে স্বীকৃতি জানিয়ে এই নিয়মকে সরকারীভাবে বাদ দেওয়া হল।

     
     



    Tags
     


    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

     



    তথ্য নীতি | Privacy policy

 
Website © and ® by Ebong Alap / এবং আলাপ, 2013-24 | PRIVACY POLICY
Web design & development: Pixel Poetics