বন্ধ করোনা পাখা
1 222মেয়েদের মাসিক ব্যাপারটা নিয়ে চিরকালই মানুষের মনে একটা আতঙ্ক আছে। কাটাকুটি, আঘাত কিছু নেই, তাহলে একটা মানুষের শরীর থেকে রক্ত বার হয় কী করে? একটি মেয়ের মাসিক হয় এবং তার শরীরে আর একটি মানু্যের সৃষ্টি হয় – আদিম যুগে এটা বেশ সম্ভ্রমের চোখে দেখা হত। কিন্তু পরবর্তীকালে, সমাজে মেয়েদের অবস্থানের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে, এই মাসিক হওয়াটাকে একটা নোংরা, অপবিত্র ঘটনা বলে মেয়েদের আরও নিচু করে দেখার একটা উপায় পেয়ে গেল সমাজের সকলেই। আর যে পিতৃতন্ত্র আমাদের সমাজের আকাশ আচ্ছন্ন করে রেখেছে, আমরা মেয়েরা তো তারই অর্ধেকমাত্র! কাজেই মাসিকের সম্বন্ধে এই সব কুৎসিত আর অবদমনকারী ধারণা আমরাও বিনা বাক্যব্যয়ে হজম করে আত্তীকরণ করেছি আর সমাজের চাপিয়ে দেওয়া উদ্ভট নিয়ম-কানুনগুলি কোনো প্রশ্ন না তুলে পালন করে চলেছি।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের যেটুকু আদর তা হল তারা মা হতে পারে—বিশেষতঃ ছেলের মা হয়ে বংশ রাখতে পারে বলে। আর ঋতুবন্ধের মানে হল এই প্রজনন বা শিশু গর্ভে ধারণ করার ক্ষমতার কাল (সাধারণতঃ একজন মেয়ের ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত সময়টা) শেষ হয়ে যাওয়া আর মাসে মাসে রক্তস্রাব হওয়া বন্ধ হয়ে হওয়া। তাই মেয়েদের এই সময়টা সমাজের পুরুষ-মেয়ে উভয়ের জন্যই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে, মাসিকের মত একটা জরুরি বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা যেখানে হয় না, সে জায়গায় ঋতুবন্ধ বা একটা বয়সে পৌঁছে মাসিক হওয়া থেমে যাওয়া নিয়ে যে কেউ বিশেষ কথা বলে না, তাতে আর অবাক হবার মতো কিছু নেই।
গত পঞ্চাশ বছর ধরে আমি গ্রামে-গঞ্জে, শহরের বস্তি অঞ্চলে মেয়েদের সঙ্গে তাদের প্রজনন-স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি প্রচুর কথা বলেছি । ঋতুবন্ধের সময়টাতে এই মহিলারা কী ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায় সে ব্যাপারে প্রশ্ন করে বিচিত্র সব উত্তর পেয়েছি। আলোচনার মধ্যে ঋতুবন্ধ, তার কারণ, সে সময় শরীর-মনের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যে কী কী করণীয় এই সব বিষয় উঠে এসেছে। তারা যাতে এই সব নিয়ে কথা বলতে সঙ্কোচ না করে, তার জন্যে আমার নিজের জীবনের ঐ সময়টার গল্পও তাদের বলেছি।
আমার নিজের ঋতুবন্ধটা বেশিরভাগ মহিলার মতো হয় নি। ১৩ বছর বয়সে আমার মাসিক শুরু হয়। প্রথম থেকেই মাসিকের সময় তলপেটে, পিঠের নিচের দিকে আর উরু দুটিতে প্রচণ্ড ব্যথা হত। মাসিকটা ৭/৮ দিন ধরে চলত আর অনেকটা করে রক্ত বার হত। সে সময় অবিবাহিতা মেয়েদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে এই সব শারীরিক কষ্টের চিকিৎসার কথা ভাবা হত না। ডাক্তাররাও বিয়ে না হওয়া মেয়েদের শরীরের ভেতরে পরীক্ষা সাধারণত: করতেন না। কাজেই এই সাংঘাতিক কষ্টটা যে একটা রোগের লক্ষণ, এবং তার যে চিকিৎসা করা উচিত সেটা জানতামই না।
১৮ বছর বয়সে আমি বিয়ে করি, কারণ যে ডাক্তার ছেলেটিকে আমি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করার পর আরও পড়াশোনা করবার জন্যে বিলেত চলে যাচ্ছিল—আমাকে ফেলে তাকে একা চলে যেতে দিতে আমি চাইনি! যাই হোক, কয়েক বছর বাদে দেশে ফিরে আসার পর আমার প্রথম সন্তান জন্মায়। গর্ভবতী অবস্থায় ডাক্তার পরীক্ষা করে বোঝেন যে আমার জরায়ুতে শিশুর সঙ্গে বড়সড় কয়েকটি টিউমার রয়েছে, যার ফলে মাসিকের সময়ে এত গোলমাল। কিন্তু, একটিমাত্র বাচ্চার মায়ের জরায়ুতে কোনোভাবে ডাক্তার হাত দিতে চাননি।
এর পরের কয়েক বছরে আমার আরও দুটি শিশু জন্মায়। তার পরে আমার মাসিকের সময় রক্তপাতের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। একদিন আমার হার্টে একটা মারমার বা মৃদু আওয়াজ পেয়ে আমার ডাক্তার স্বামী আমাকে নিয়ে যান আমার রক্ত পরীক্ষা করাতে। পরীক্ষার ফলে ধরা পড়ে যে আমার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে কমে গেছে। আর রক্তপাত হলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে অপারেশন করে আমার পুরো জরায়ুটি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ওইরকম ভয়ংকর কষ্টদায়ক মাসিকের থেকে চিরকালের মতো নিষ্কৃতি পেয়ে আমি তো খুব খুশি! ডাক্তার অবশ্য আমায় বলে দিয়েছিলেন যে জরায়ুটা পুরো বাদ দিলেও তিনি আমার ওভারি বা ডিম্বাশয় দুটি রেখে দিয়েছেন, যাতে সেগুলি থেকে ঈস্টোজেন আর প্রোজেস্টেরন হরমোন সমেত রস ঠিকমত বার হয়, না হলে আমার শরীরে ও মনে আমি কষ্ট পাবো।
যাই হোক, মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে, তাই কবে যে ঋতুবন্ধ হবে সে নিয়ে তো কোনো চিন্তাই হয়নি আমার। তাই যখন ৪৫/৪৬ বছর বয়সে শরীরে নানারকম অসুবিধা হতে শুরু হল—হঠাৎ হঠাৎ খুব গরম লাগা, আচমকা প্রচণ্ড ঘাম হওয়া, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি তখন বুঝতেই পারিনি কী হচ্ছে। এসবের সঙ্গে শুরু হল ভীষণ ডিপ্রেশন বা মন খারাপ হওয়া। ভয় পেয়ে চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে। তিনি বললেন, ‘এগুলো তো আপনার ঋতুবন্ধের লক্ষণ’। আমি বললাম ‘আমার তো মাসিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৩০ বছর বয়সে জরায়ু অপারেশনের পরে’। এতো বছর পরে আবার ঋতুবন্ধ কী? ডাক্তার আমাকে বুঝিয়ে বললেন যে জরায়ু না থাকলেও আমার ওভারি বা ডিম্বাশয় দুটি ছিল, এবং সেগুলি তাদের কাজ—অর্থাৎ হরমোন ও ডিম্বাণু বার করে শরীরকে সুস্থ রাখা, সেটা করে যাচ্ছিল। এখন ৪৫ বছর বয়সে ডিম্বাণু ফুরিয়ে গেছে, ডিম্বাশয়ের কাজও ফুরিয়েছে, হরমোন কম পড়েছে, তাই এইসব লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। সকলের না হলেও অনেক মহিলারই এরকম হয়। এর ভালো চিকিৎসা আছে। এরপর তিনি আমাকে হরমোনের কাজ আবার শুরু হওয়ার জন্যে ওষুধ দিলেন। তাঁর চিকিৎসায় আমার খুব উপকার হয়েছিল। শরীর আর মন দুইই ভালো হয়ে গেল। কয়েক বছর পরে ধীরে ধীরে ওষুধ কমিয়ে তারপর বন্ধ করে দিলেন ডাক্তার। এখানে একটা জরুরি কথা বলা দরকার। অন্য অনেক চিকিৎসার মত হরমোন দেওয়ার মধ্যেও ঝুঁকি আছে। অনেক মেয়েকে এটা দেওয়া যায় না, ক্ষতি হয়। যাদের দিলে উপকার হয়, তাদের জন্যেও সাবধানে মাত্রা ঠিক করে দিতে হয়, বেশিদিন ধরে দেওয়া যায় না। তাই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই চিকিৎসা করাতে হয়।
আমার বন্ধু আর সহকর্মীদের জিজ্ঞেস করে জেনেছি তাদের মধ্যে অনেকেরই ৪০/৪৫ বছর বয়সের আশপাশ থেকে একটু একটু করে মাসিকের রক্তপাত অনিয়মিত হতে শুরু করেছে, তারপর ৫০ বছরের কাছাকাছি সময়ে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ঋতুবন্ধের সময়টাকে তিনটি ধাপে ভাগ করা যায় । প্রাক-ঋতুবন্ধ কাল—এই সময়টা মোটামুটি ৪৫/৪৬ বছর বয়স থেকে শুরু হয়ে ৩/৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে চলে। এই সময়ে মাসিক অনিয়মিত হতে শুরু করে, প্রতি মাসে হয়তো হয় না, আবার যখন তখন হতে পারে। রক্তপাতের পরিমাণেও বদল ঘটে—কখনো বেশি, আবার কখনো কম হয়। এই সময়ের কয়েকটি লক্ষণ হল মেয়েটির সারা মুখ, শরীর হঠাৎ হঠাৎ গরম আর লাল হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া—বিশেষত: রাত্রে। মেজাজটাও বেশ খিটখিটে হয়ে যায়। এইভাবে কয়েক বছর কাটার পর মাসিক হওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫০ বছরের কাছাকাছি বয়সে। এই সময়টাকেই ঋতুবন্ধের দ্বিতীয় ধাপ বলা হয়।
এই দ্বিতীয় ধাপটির সময় কিছু অস্বস্তিকর লক্ষণ দেখা যেতে পারে । ঈস্টোজেন হরমোনের অভাবে অনেক মেয়ের ভ্যাজাইনা বা যোনিদ্বারের জায়গাটা শুকিয়ে যায়, জ্বালা করে অথবা খুব চুলকায়। এইসব খুবই কষ্টকর হতে পারে। তবে এগুলির জন্যে ভালো চিকিৎসা আর ওষুধ আছে।
মজার ব্যাপার হল, ঋতুবন্ধের যে বেশ কিছু ভালো দিকও আছে, এই সময়টাতে যে কতকগুলো সুখের ব্যাপার ঘটে, সে বিষয়ে কেউ বিশেষ মুখ খুলতে চাননা। হয় তাঁরা এই ধরণের ঘটনাগুলি নিজেদের কাছেও স্বীকার করতে চাননা, কিংবা অন্য কারো কাছে মুখ খুলতে লজ্জা পেয়েছেন। যখন গ্রামাঞ্চলে আর শহরের বস্তি অঞ্চলে মাঝবয়সী মহিলাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলি, তখনও কিন্তু অনেক কথা তারা বলে। বিশেষত: যৌনকর্মীদের কাছে নানা খবর পাওয়া যায়, কারণ তারা তো যৌনতা, যৌন সম্পর্ক এসব নিয়ে রাখঢাক করে না, তাই মাঝ বয়সে পৌঁছে ঋতুবন্ধের সময় তাদের অভিজ্ঞতা খোলাখুলি বলে দেয়। আমার নিজের জীবনের থেকেও আমি এই আনন্দের দিকগুলি দিব্যি অনুভব করেছি।
মাসিক বন্ধ হওয়া মানেই মাসিকের সঙ্গে জড়িত সমস্ত বাধ্যবাধকতাও বন্ধ হয়ে যাওয়া। যখন তখন বাড়ি থেকে বেরনো, এখানে ওখানে যাওয়াতে কোনো সময়েই বাধা না থাকা, সব কিছু ছুঁতে পারা, দৌড়োদৌড়ি, ওঠানামা করতে পারা, এগুলি মেয়েদের পক্ষে কি কম স্বাধীনতা? সব থেকে বড় কথা অনিচ্ছা সত্বেও হঠাৎ পেটে সন্তান এসে যাওয়ার ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া। তবে এখানে মনে রাখতে হবে যে, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বা কোনো বিশেষ রোগের কারণে ছাড়া পুরো এক বছর একটানা মাসিক বন্ধ থাকলে তবেই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে যে পুরোপুরি ঋতুবন্ধ হয়ে গেছে, আর বাচ্চা হবার ঝুঁকি নেই। কাজেই মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও এক বছর পুরুষের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার সময় কনডোম বা অন্য কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার করা উচিত ।
নানা বাধানিষেধ আর ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মেয়েরা এই সময় অনেক ধরনের কাজকর্ম করতে পারে, তাতে তাদের জীবনে একটা অদ্ভুত ফুর্তির ভাব আসে, যা তারা আগে কখনো অনুভব করেনি। আর একটা ব্যাপার ঘটে, সেটা আবার অনেক মহিলা স্বীকার করতে চান না। এই সময়টাতে মেয়েদের যৌন ইচ্ছা বেড়ে যায় এবং যৌন সঙ্গমও তাঁরা অনেক বেশি উপভোগ করেন। এটা আমি প্রথম পরিষ্কারভাবে শুনি একজন মধ্যবয়সের যৌনকর্মীর কাছে। তাঁর কাছে আমি স্বীকার করেছিলাম যে এই অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিল।
তবে এই বয়সে যৌন ইচ্ছা বেড়ে যাওয়ার আরেকটা প্রভাবও আছে। আমাদের পরিবারে এবং সমাজে কোনো মেয়ের ঋতুবন্ধ হয়ে গেলে সাধারণত: তার নারীত্ব চলে গেছে আর যৌন আকর্ষণও শেষ হয়ে গেছে বলে ধরা হয়। আমার মনে আছে তিরিশ বছর বয়সে আমার হিস্টেরেকটোমি হয়ে মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হবার পর আমার ননদের শ্বশুরবাড়িতে আমাকে বলা হয়েছিল, ‘ইস, এতো কম বয়স থেকেই তুমি আর মেয়ে রইলে না’! অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটির যৌনসঙ্গী বা স্বামী এইরকমই ভাবে। গ্রামেগঞ্জে মেয়েরা বলে, ‘আমাদের স্বামীরা এই সময় থেকে ‘বারমুখো’ হয়ে যায়’। অনেক মহিলা ঘরে বাইরে এই ধরনের মনোভাবের মুখোমুখি হয় আর নিজেরা সংকুচিত হয়ে পড়ে। এর ওপর নিজেদের শরীর আর মনের ইচ্ছা আকাঙ্খা মেটানোর পথ পায় না বলে তাঁদের একধরনের অতৃপ্তি জন্মায়। অনেক মেয়ে মনমরা, বিষণ্ণ হয়ে যায়। এই ধরনের ডিপ্রেশন বড় কষ্টদায়ক। এ সময় মেয়েদের একটু মনোযোগ, একটু পরামর্শ আর ভালোবাসার বড়ই প্রয়োজন।
ঋতুবন্ধের পরবর্তী সময়ের কয়েকটা বছরকে তৃতীয় ধাপ হিসেবে ধরা হয়। সেই সময়কালেও কতকগুলি লক্ষণ দেখা দেয়। হঠাৎ গরম লাগা, প্রচণ্ড ঘাম ইত্যাদি কমে যায়। কিন্তু কতকগুলি বিপজ্জনক ব্যাপার হতে পারে। শরীরের হাড়গুলির শক্তি কমে যায়—এই অবস্থাটাকে বলে অস্টিওপোরোসিস। এর ফলে অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া হার্টের রোগ, মূত্রতন্ত্রের নানা অসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এইসব বিষয়ে এ সময় সচেতন থাকতে হয়।
অনেক মেয়ের বিভিন্ন কারণে ঠিক বয়স আসবার আগেই হঠাৎ ঋতুবন্ধ হয়ে যায়। জরায়ুর কোনো অসুখ করলে হিস্টেরেকটোমি বলে একটা অপারেশন করে জরায়ু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তার ফলে মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওভারি দুটি থেকে যায় বলে ঋতুবন্ধ হয় না। পরে ঠিক বয়স এলে তবে ঋতুবন্ধ হয়, এবং তার লক্ষণগুলিও দেখা দেয়। আমার ক্ষেত্রে এইরকমই ঘটেছিল। ওভারির কোনো রোগের জন্যে যদি সে দুটিও বাদ দেওয়া হয়, তবে অসময়ে ঋতুবন্ধ হয়ে যায়। ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন করলেও সময়ের আগেই ঋতুবন্ধ হয়ে যায়।
তবে আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, বয়:সন্ধি বা মাসিকের মতো ঋতুবন্ধও মেয়েদের জীবনচক্রের একটি স্বাভাবিক অংশ। আমরা এটি নিয়ে ভয় পাব না বা মন খারাপ করব না। শরীরের অন্য পাঁচটা কাজকর্মের মত এটিকেও সহজভাবে নেব, এটির কারণ ও কাজ জেনে নেব আর এসময় শরীরটা সুস্থ রাখার চেষ্টা করব। যে যাই বলুক না কেন, এই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ঘটনায় আমরা লজ্জা পাব না। মেয়ে হিসেবে, মানুষ হিসেবে, সমাজে মাথা উঁচু করে জীবনটা কাটাব।
Tagsadolescence age of consent age of marriage caa child marriage corona and nursing covid19 Covid impacts on education domestic violence early marriage education during lockdown foremothers gender discrimination gender identity gender in school honour killing human rights intercommunity marriage interfaith marriage lockdown lockdown and economy lockdown and school education lockdown in india lockdown in school lockdown in schools love jihad marriage and legitimacy memoir of a nurse misogyny nrc nurse in bengal nursing nursing and gender discrimination nursing in bengal nursing in india online class online classes during lockdown online education right to choose partner school education during lockdown social taboo toxic masculinity transgender Women womens rights
Good evening Ma’am,
I am a journalism student and would like to get in touch with you for an interview regarding an article you wrote on women in the Naxalite movement for research purposes.
Please get back to me as soon as possible.
Thank You