• চিলিকায় ‘একা-একা’ দুজনে


    2    574

    June 6, 2017

     

    ছবি - লেখক

    আরেঃ, ইনি কে? বহুদিন দর্শন পাইনি তো! অবশ্য সম্ভবও নয়। এমনিতেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকার ভাবুক গোছের বদভ্যেস কম, তায় আবার বাস করি পরিবর্তনের কলকাতায়। জানালার কাছে উন্নয়নের পেল্লায় এক আলো বাসা বাঁধার পর থেকেই জীবন থেকে গভীর ঘুমের সঙ্গে চাঁদমামাও চিরবিদায় নিয়েছেন। ছাপোষা বঙ্গীয় জীবনে প্রকৃতি বলতে এখন শুধুই নীল-সাদা, কবি বলতে মূলত রবি, আর নো চন্দ্র-সূর্য্য-তারা চর্চা। কারণ এ শহরে প্রকৃতিদর্শনের সব রকমের বদ অভিসন্ধি ত্রিফলা-দোফলা-নীলসাদা-দোআঁশলা আলোরা মাটির কে জানে কত ফুট তলায় পুঁতে ফেলা হয়েছে। বিশ্বাস করুন, সেদিন খুব দূরে নয় যখন এই শহরে পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে এট্টুখানি ঘুটঘুট্টে আঁধার দেখানো হবে (গরীব, ভিখিরি, সংখ্যালঘু ট্যাংরা-টাইপ এলাকার কথা জিজ্ঞেস করবেন না। জানি না।)। যাগগে, বেশি কথা বলার অভ্যেস পাঠক ক্ষমা করবেন। কিন্তু সত্যিই তো আমি থতোমতো। হঠাৎ করেই হুজুগে পড়ে চিল্কা এসে, (নাকি চিলিকা?) এই যে চোখের সামনে এই এত্ত বড় চাঁদ, এতো শেষ দেখেছি সেই ডিসকভারি চ্যানেলে!

    লক্ষ্মী মেয়ের মত হ্রদের ধারে বসে বসে নৌকো, ফেরি আর মানুষজন দেখছিলাম। দিনের শেষ ফেরি ওই আর এক দ্বীপ পারাকুড়ি নাকি পারিকুড়া থেকে পাড়ে ভিড়ল। সাতপাড়ার এই ঘাট থেকে আজকের মত পাট গুটিয়ে আশপাশের দ্বীপ-গাঁয়ে যেতে শুরু করেছে সাইকেল-মানুষ-বাইক-খাবারদাবার ইত্যাদি। Noah-টাইপ ভাব নিয়ে একাধিক যন্ত্রখেয়া খাপছাড়া ভাবে এদিকওদিক ছড়িয়ে। খুবই রাশভারি, গম্ভীর লাগছে তাদের। ঘাটে টুকরো ব্যস্ততা, আলো নিভে আসছে। ক্যামেরায় চোখ সরু করে রেখেও আমি বা ক্যামেরা দুজনেই প্রায় কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, অথচ খালি চোখে সব কী সুন্দর! ওই যে ম্যাজিক লাইটের নীলচে আলোয় দু-দশটি নাম-না- জানা পাখি কে জানে কোথায় আমার মন কেমন করিয়ে উড়ে চলল, নৌকোয় পা রাখার আগে এক মেয়ে কোমরে হাত দিয়ে এক নজরে চিলিকা-জল দেখে চলেছে, বোঝার উপায় নেই মাছ দেখে ভেজে খাবার কথা ভাবছে, বন্ধুবিরহে কাতর, নাকি ফেলে আসা দিনটির জটিল কোনও হিসেব কষছে। কিন্তু তার ছায়াঘন ভাবুক অবয়বটি, যাকে বলে সিল্যুয়েট, আঁধার-নীলের ব্যাকগ্রাউন্ডে বড়ই সুন্দর লাগছে। ওইদিকে দেখা যায় রওয়ানা হওয়ার আগে চট করে চার মাঝির ছোট্ট একটা আড্ডা, বিড়ি ভাগাভাগি। আমাদের পাশে বসে আছেন দীনেশ মাঝি। ঘুমিয়ে পড়ার একটু আগে ঘাটের কাছে দুটি মেয়েকে ‘একা-একা’ ঘুরতে দেখে কিঞ্চিৎ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা এতে অভ্যস্ত, এবং এখন আবার তা থিতিয়েও গেছে। দীনেশদা নিজেই এসে আলাপ জমালেন, উনি নাকি মুখার্জী, সেই কোন ভুলে যাওয়া সময়ে বাপ-ঠাকুদ্দা উড়িষ্যা চলে এসেছিলেন। এখন বাঙালি বলতে শুধুই পদবীর স্মৃতি। দীনেশদা ওঁর মত করে চিলিকার মানচিত্র বোঝান, হুই দূরে দূরে হাত তুলে বুঝিয়ে দিতে চান কোন দ্বীপের কী নাম, কী ভাবে সেখানে পাড়ি দেওয়া যাবে, কোন জঙ্গলে আর কোন সমুদ্দুরের পাড়ে ওটিডিসি বা বন বিভাগের থাকার জায়গা আছে। ওইত্তো একটু দূরেই দেখা যাচ্ছে বেরহামপুরা; সাতপাড়া থেকে বন দপ্তরের বুকিং আর রান্নার কাঁচামাল নিয়ে যাও, ওঁরা রান্না করে দেবেন, থাকারও দিব্য আয়োজন। বাজার নেই তবে এসি আছে। আমাদের মত শহুরে, বেড়ানো বাবু-বিবিদের জন্য সরকার সে বন্দোবস্ত রেখেছেন। কথার মাঝে দীনেশদা হঠাৎ জানতে চাইলেন কলকাতায় কোথায় থাকি। আমার সঙ্গিনী বলে, ‘আপনি কলকাতা চেনেন?’ ‘৯৮ সালে গেলাম তো, সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে। ভিক্টোরিয়া, মিউজিয়াম, মনুমেন্ট ... আরও কত কী দেখলাম।’ বাংলা মেশানো ওড়িয়ায় কথা বলতে থাকেন দীনেশদা। ‘কলকাতা আমার খুব ভাল লেগেছিল।’ কৌতুহলী মাঝির ভালমানুষ প্রশ্ন, ‘আপনাদের বাড়িতে কেউ নেই? বাবা-মা-ভাই-বোন?’ ‘হ্যাঁ, সবাই আছে তো।’ ‘তবে যে আপনারা এমন একা-একা ...’ ঘাটে এক নৌকো আসে, নানা বয়সের বিদেশি সাদা মেয়েরা সাবলীল ভঙ্গিতে লাফিয়ে নামেন। চোখ ছোট করে দীনেশদা ওঁদের দেখতে থাকেন। দূর কোনও গাঁয়ের শিশুদের ‘সাহায্য’ দিয়ে ফিরলেন ওঁরা। আমরা না ওঁরা, দীনেশদার কাছে কারা বেশি ‘অন্য’ দেশ হঠাৎ গুলিয়ে যায়। আমাদের রাজনৈতিক মাঝি আবছায়া কিছু দ্বীপের দিকে আমাদের দৃষ্টি ফেরান, নানা গাঁয়ের নাম করতে থাকেন, ‘দেশ স্বাধীন হল সেই কবে ’৪৭ সালে আর ওই গ্রামগুলোতে লাইট এলো এইতো সবে তিন মাস, বুঝলে দিদি।’ এঁকেই এতক্ষণ ধরে ম্যাটাডোর ভরানো সিপিএম ভাবছিলাম!

    বাংলা-ব্যান্ড টাইপ তিনটি ছেলে এসে উপস্থিত হয়, কেউ ছাগল দাড়ি, কেউ মাথা কামানো, সঙ্গে গিটার নেই এই যা তফাৎ। আমাদের ক্রমশ জমে ওঠা রাজনৈতিক আলোচনায় ছেদ পড়ে। যা ভেবেছি, বাঙালিই। ‘দীনেশদা, তাহলে লাস্ট কত বলছ? কাল ওই ডলফিন আর সী-মাউথ। রাজহংস যাব না। কিন্তু গেলে কত পড়বে?’ মাঝি লাফ দিয়ে উঠে গামছা কাঁধে ফেলে ব্যবসায় মন দেন। আর আমরা জলের দিক থেকে মুখ ফেরাতেই, লেখা শুরু করেছিলাম যে প্রসঙ্গে ... সেই চন্দ্র দর্শন! সদ্য উঠেছে, কী বিরাট সাইজ! এদিকে চিলিকা, ওদিকে চাঁদ, পূর্ণিমার! মাঝি কথা সেরে আমাদের দিকে আসতে থাকেন, ছেলেরা চেঁচিয়ে পিছু ডাকে, ‘দীনেশদা, একটু শোনো।’ আমি তাকাই। জোরে না বললেও শোনা যায়। ‘এখনি নিয়ে এস তবে। এই টাকাতে ছ’টা বোতল হয়ে যাবে। কিংফিশার হলে ভাল, না হলে যা পাবে তাই। কোন নৌকোয় বসব গো?’

    ইসস, আমরাও যদি ওদের মত ... করুণ চোখে সঙ্গিনীর দিকে তাকাই। এই সবে ঘুম থেকে ওঠা পূর্ণশশীর রং যে এই সবে গেলাসে ঢালা বীয়রের মত হতে পারে, আগে তো ভাবিনি! আমার গদ্যময় ক্ষুধার রাজ্যে ওতো রুটিই ছিল বরাবর, বীয়র হতে যাবে কেন? আমরাও কি তবে চেখে নিতে চাইতে পারি রুটির সঙ্গে কীসের কী জরুরি ফারাক ... মাঝি দাদাকে কি তা হলে ... সঙ্গের জন একে মেয়ে, তায় ডাক্তার। সামাজিক মর্যাদা আছে না একটা! ‘না, না, এটা হয় না।’ সান্ত্বনা দেওয়ার ভঙ্গিতে হলেও নীচু গলায় কড়া ঘোষণাই দেয় সে। আমি না হয় তৃতীয় বিশ্বের কালোকেলো হাড়গিলে এক তথ্যচিত্র নির্মাতা, কেউ পোঁছেও না। কিন্তু সেই আমিও কি পারি! হাঁটুর বয়সী ছেলেগুলো আরাম করে হাত-পা ছড়িয়ে নৌকোয় উঠে বসেছে। খোশমেজাজে জলের মাঝে বসে গুনগুন সুর। ফূর্তির ফাগুন হাওয়ার পালে ফুরফুরে চিল্কা-বাতাস বইছে। কেমন লাগে এমন করে বেড়াতে? আমরা তো মেয়ে, তাই জানি না। আচ্ছা, ওদের তো দেখতে বেশ ভাইভাই  মতই লাগছে। দুষ্টু লোক মনে হচ্ছে না। গিয়ে আলাপ জমালে হয় না? খুবই অবাক হবে কি ওরা? ‘আজকালকার মেয়েগুলো সব স্মার্ট ...’ গেয়ে উঠবে? বন্ধু বলে, ‘না, না, এসবের দরকার নেই, কী যে বলো!’ আচ্ছা, এখানে অন্য দুটি পুরুষ থাকলে তারাও অনায়াসে মাঝির হাতে টাকা গুঁজে দিতে পারত, না? অথবা নৌকো নিয়ে এই রাতেই ঘুরে আসতে পারত ওঁর আলুপটানা গ্রাম। যদিও জানি না আমাদের মতো ওঁর বৌয়ের হাতের রুটি-ভাজি খাবার নেমন্তন্ন এরা পেত কি না। নিশ্চয়ই না।

    শুনলাম বিয়ের পর এখানকার মেয়েরা অন্তত দু’বছর কয়েক হাত ঘোমটা দিয়ে থাকে। অর্ধেক আকাশকে রাস্তাঘাটে বিশেষ চোখেও পড়েনি। কোমরে টাকা গুঁজতে গুঁজতে দীনেশদা এগিয়ে আসেন, কালকের কথা আগেই হয়ে গেছিল, আমরাও যাব সী মাউথ আর দেখে আসব বেরহামপুরার বন-বাংলো, পরের বারের জন্য। ‘দিদিরা, রাত হল, হোটেলে ফিরবেন না? কাল তো দেখা হচ্ছেই।’ কোনও এক নাম না জানা পাখি শিস দিতে দিতে উড়াল দেয় ... বীয়র রঙা জোছনায় চরাচর ভেসে যায়। রাজনৈতিক মাঝি, বাংলা ব্যান্ড, পুরুষ সবাই কেমন এক হয়ে যায় আর দুটি মেয়ের ‘একা-একা’ বেড়ানো যে কোনও পুরুষের বেড়ানোর থেকে বরাবরের মতই ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা হয়ে যায়।

    একটু পরেই চা-দোকানে দেখা হয়ে যাবে লোকাল থানার ওসি-র সঙ্গে ... আবারও আমাদের দুজনকে ‘একা-একা’ দেখে দোকানির মত তিনিও নানাবিধ পরামর্শ দিতে শুরু করবেন। তিনি পুলিশ, কাজেই আঠারো অথবা অগুন্তি ঘা, আমাদের পেশা-নেশা সবই জেনে নেবার রাষ্ট্রীয় অধিকার তাঁর বিলক্ষণ আছে। রীতিমত হাড়হিম ভয়াল কণ্ঠে তিনি এমনকি দিনের বেলায়ও বোটে চড়ে দুটি মেয়ের ‘একা-একা’ দ্বীপে-দ্বীপে ঘুরে বেড়ানোর বিদ্ঘুট্টি নেশাকে পারলে দাদা-বাবা-মামা-মেসো-চিরঞ্জিৎ বা তাতেও কাজ না হলে অজানা কোনও ভয় বন্দুকের বাক্যনল দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে চান। চা ঠাণ্ডা হতে থাকে, চুমুক দিতে ভুলে যাই। কী করব, আমরা তো মেয়ে। চিরকাল দেখেশুনে এসেছি ব্যাকপ্যাক পিঠে হিউয়েন সাঙ-ফা হিয়েন বা বগলমে জুতা ইবনে বতুতা। ইতিহাসের পাতায় পাতায় তাঁদের নাম। একলা তো দূরে থাক, সে যুগে নিদেনপক্ষে দোকলাও কোন মেয়ে অভিযাত্রী, ভ্রমণপিপাসুর সন্ধান জানেন কি? তাঁদের জানতে হলে খুঁজতে হবে রে ভাই, প্রবল সব ইয়া-ইয়া পুরুষদের খড়ের গাদায় তাঁরা নিতান্তই বেচারা সূচ।

    ছবি - লেখক

    জানো কি তোমরা আমেরিকার এলিজাবেথ জেন ওরফে নেলি ব্লাই-এর নাম? নিউ ইয়র্ক ওয়র্ল্ড পত্রিকার ডাকাবুকো সাংবাদিক নেলি সম্পাদকের কাছে আর্জি জানান জুল ভের্ণ-এর গপ্পের নায়ক ফিলিয়াস ফগকে তিনি বাস্তবে হারাবেন। সম্পাদক প্রস্তাবে রাজি হয়ে জান, ফগকে নিয়ে এমন উঠল বাই ভাবনাকে কাজে করে দেখানোর একগুঁয়েমি, হাজার হোক, নেলির আগে কেউ করতে বা ঘটাতে চেয়েছেন কি? তো ছোট্ট এক ব্যাগ হাতে, গলায় টাকাপয়সা গয়নাগাটি বেঁধে রওয়ানা দিলেন নেলি। সেই কবে ১৮৮৯ সালে ‘এরাউন্ড দ্য ওয়র্ল্ড’ করে এসেছিলেন, উঁহু, এইট্টি ডেজে নয়, ৭২ দিন ৬ ঘণ্টা ১২ মিনিটে! পথে ফ্রান্সে জুল ভের্ণ-এর সঙ্গে দেখাও হয়, ভের্ণ ভেবেছিলেন এ মেয়ে পারলেও পারতে পারে তবে ৭৫ দিনের কমে কিছুতেই নয়। উনি কি সম্পূর্ণ একলা ছিলেন? জানি না, তবে ভ্রমণপথে সিঙ্গাপুরে একটি বাঁদর কিনেছিলেন, সেটি পুরুষ কি না সে তথ্যও জানা নেই। তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হল, নেলির খবর পেয়েই ‘নইলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়’ এই ভাবনায় কসমোপলিটন  নামের এক মাসিক পত্রিকা এলিজাবেথ বিসল্যান্ড নামের আরেক মহিলাকে আসরে নামান। নেলির কাছে তিনি পিছিয়ে পড়লেও দৌড় সম্পূর্ণ করেন, প্রায় ৭৭ দিন লাগলেও! কিন্তু এই পুলিশের লোক-ওই চা দোকানি-সেই মাঝি বা ব্যান্ড পুরুষ, এঁরা কি এসব জানেন? আমরাই কি ছাই জানি? কখনও ছিল কি আমার দেশে বা এই উপমহাদেশে সময়ের আগে জন্ম নেওয়া কোনও সাহসিনীর পাহাড়-নদী-সমুদ্দুর উজিয়ে যাওয়ার কাহিনী? যদিও ইতিহাসের পাতায়-পাতায় এমন অনেক মহিলার কথাই হয়ত পাওয়া যায়, লেখা যাবে আর কোনওদিন অন্য কোনও ফুরসতে। এঁদের ছবি দেখতে পাই না কেন আমরা? নাকি একলা-বোকা আমিই জানি না, আপনারা জানেন গো দাদা?

    ক্যামেরা আঁকড়ে হাঁটা দিই, আনমন জোছনায় স্নান করতে থাকা চিলিকা পিছু ডাকে না। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অতিবাম আগুনখেকো, বিপ্লব ভাবনায় এগিয়ে থাকা এক সিনিয়র দাদা আমার ছবি তোলার নেশায় একবার খামাখাই বাঁকা হাসি হেসে বলেছিল, ‘পারবি আমার মত রাত্তির বারোটায় কবরখানায় গিয়ে বসে থাকতে? মন খারাপ হলে আমি তো যখন তখন যাই।’

    পাঠক, আমার খেই হারানো ভ্রমণকাহিনীর জন্য ক্ষমা করবেন। মেয়ে হয়ে একলা-দোকলা ঘুরে বেড়ানোর দোষ, আশপাশের অনেক কিছুই আমাদের বেড়ানো প্ল্যান উল্টে দিলেও শেষ পর্যন্ত কিছুই পালটায় না। প্রসঙ্গত, পরের দিন গেলাম এ-দ্বীপ সে দ্বীপ, যদিও পকেটে ব্লেড ছিল, কী করব, ওটাই একমাত্তর ভরসা-অস্ত্র। দীনেশদার নৌকো চড়ে প্রচুর চিংড়ি-কাঁকড়া খেলাম আর একটিও লোকটি নেই এমন সমুদ্দুরের তীরে দু-হাত তুলে নাচলাম। সে সব দ্বীপের গপ্পোও পরে কখনও, অন্য কোনওখানে।

     
     



    Tags
     



    Comments (2)
    • খুব ভালো লিখেছো, দেবলীনা। খুবই সুপাঠ্য আর দরকারী কথা।

    • ভীষন ভালো লাগল লেখা|| খেই হারালে বলেই না মনে হলো যে আমার সামনে বসে গল্প বলছ||মনের ইচ্ছা করার পথে নিজের মন সাথে থাকলে আর কিছুই লাগেনা,কিন্তু,অপর্যাপ্ত অপকারির সাথে বিপুল পরিমানে অত্যন্ত অতি উপকারী,সাবধান বাণী দেওয়া লোকের তো অভাব নেই চারিপাশে|| তাদের,উপেক্ষা করাটাই..মূল কর্ম||তোমার চোখের চিল্কারর বর্ণণা সামান্য হলেও…বেশ প্রেমে পরার মতো…যেতেই হবে…পূর্ণিমার রাতে চিল্কায়…
      ভালো থেকো..
      Nilanjana Lahiri Banerjee

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

     



    তথ্য নীতি | Privacy policy

 
Website © and ® by Ebong Alap / এবং আলাপ, 2013-24 | PRIVACY POLICY
Web design & development: Pixel Poetics