লিঙ্গ আর ধর্মের দূরত্ব ঘুচিয়ে 'আলাপ মিলাপ'
1 281
স্কুল লাগোয়া খেয়া ঘাটে নৌকো এসে ভিড়ল যখন, নেমে দেখি রীতিমতো লাল নীল সবুজের মেলা। একটাই স্কুল থেকে নানা রঙের ইউনিফর্ম পরা ছেলেমেয়েরা কলকলিয়ে বেরিয়ে আসছে। স্কুলের সামনে বেঞ্চ পেতে বসে পড়ুয়া স্বেচ্ছাকর্মীরা আমাদের সবাইকে গুরুগম্ভীর আদেশ দিল - রেজিস্ট্রেশন করতে হবে! আজ বাধ্য হওয়ার পালা আমাদের, তাই গুটিগুটি পায়ে নামধাম লিখে দিলাম। এইবারে খুদে নেতানেত্রীরা আমাদের হাসিমুখে স্কুলের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিল।আমরা এসেছি গোসাবা ব্লকের বালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়নগর আদর্শ বিদ্যামন্দিরে, ‘এবং আলাপ’ আর ‘সুন্দরবন বিজয়নগর দিশা’-র মিলিত উদ্যোগ ‘আলাপ মিলাপ’ অনুষ্ঠানে শামিল হতে। ‘আলাপ মিলাপ’ শুধুমাত্র কোনো অনুষ্ঠানের নাম নয়। বালি দ্বীপের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চারটি স্কুলের প্রায় ৪০০ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে চলেছে কয়েকটি কর্মশালা, যার উদ্দেশ্য ছিল জাত-ধর্মের কারণে গড়ে ওঠা দেওয়ালগুলোয় নাড়া দেওয়া, একে অপরকে চিনে নেওয়া এবং সুন্দরবনের মত বহু বিচিত্র জনগোষ্ঠীর এলাকায় সম্প্রীতির আবহ বহাল রাখা। ২০১২ সাল থেকে বালি দ্বীপে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘এবং আলাপ’। এবছর সেই অনুষ্ঠানই এই ‘আলাপ মিলাপ’ কর্মশালার উপরে ভিত্তি করে হয়। ছেলেমেয়েদের বোর্ডের পরীক্ষা চলায় ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারীদিবসের দিনটিতে উদযাপনের বদলে অনুষ্ঠান একটু পিছিয়ে ১৬ই মার্চ আয়োজিত হচ্ছে।
কচিকাঁচারা সোজা আমাদের নিয়ে গেল ‘পোস্টার প্রদর্শনী’ দেখাতে। সম্পূর্ণ নিজেদের হাতের কাজ, তাই স্বাভাবিকভাবেই সেটা দেখানোয় তাদের সবচেয়ে বেশি উৎসাহ। ‘আলাপ মিলাপ’ কর্মশালা সিরিজের অংশ হিসেবেই আয়োজিত একটি বিশেষ পোস্টার কর্মশালায় চারটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল, যেখানে মূল বিষয় ছিল নারী নির্যাতন, সকলের সমানাধিকার, সাপ্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সচেতনতা। এই বিষয়গুলি ঘিরেই ছেলেমেয়েদের আঁকা প্রায় খান তিরিশেক পোস্টার টাঙানো হয়েছে স্কুল প্রাঙ্গণের একদিকে। এমন সব ছবি এঁকেছে তারা দেখে মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়। পাকা শিল্পী নয় কেউই, কিন্তু তাদের ভেতরে লালিত হচ্ছে যে সুন্দর সরল মনটা তার আভাস খুব স্পষ্ট।
বিজয়নগর আদর্শ বিদ্যামন্দির, সত্যনারায়ণপুর শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়, সুন্দরবন অসিতবরণ হাই স্কুল এবং বালি পূর্বপাড়া হাই স্কুল – এলাকার এই চারটি স্কুলের ছেলেমেয়েরা মিলেমিশে এঁকেছে ছবিগুলো, এই কাজ করতে গিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যেও আলাপ-মিলাপ জমে উঠেছে। নারী নির্যাতন, মেয়েদের অধিকার, শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, পারস্পরিক সম্প্রীতি আর সৌহার্দ্য, বিজ্ঞানমনস্কতা এইসব বিষয় ঘিরেই তাদের পোস্টার। আর এগুলো আঁকার জন্য তাদের ইন্টারনেট থেকে ‘আইডিয়া’ খুঁজতে হয়নি, যেমনটা আজকাল পড়ুয়ারা করতে বাধ্য হয় ‘প্রোজেক্ট’-এর নামে। বালি দ্বীপের পড়ুয়ারা তাকিয়েছে নিজেদের চারদিকে।
তাই সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে সবার আগে তাদের মাথায় এসেছে বনবিবির কথা। বনবিবির সামনে প্রার্থনা করছে হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। আরেকটা পোস্টারে পাড়ার টিউবওয়েল থেকে জল নিতে নিতে এক পৈতেধারী টিকিওয়ালা বামুন কুটিল চোখে তাকিয়ে আছে কাছে দাঁড়ানো দুই মুসলমান ও খ্রিস্টান পড়শির দিকে। বোঝা যায় ধর্ম আর জাতপাত ঘিরে তাদের আশপাশের বাস্তবতার কথা। বেশ কয়েকটা পোস্টারে ওরা ঘোষণা করেছে মেয়েদের পড়তে দিতে হবে, বাড়িতে আটকে রাখা চলবে না মোটেই। ঘরে বাইরে সমাজ মেয়েদের নির্ভয়ে চলতে দিক। ইভটিজিং নিয়েও পোস্টার আছে। একটা পোস্টারে সমাজকে তারা মনে করিয়ে দিয়েছে, “ছেলেমেয়ে সমান সমান, দুইটি আঁখির দুইটি তারা”। অন্য একটায় তারা বলেছে, “বিজ্ঞান চায় সবার মাঝে প্রাণের কথা বলতে, অন্ধ আবেগ সরিয়ে দিয়ে আলোর পথে চলতে।” খোদ দেশের বিজ্ঞান কংগ্রেসে যখন আজগুবি, অযৌক্তিক কথার রমরমা তখন তাদের এই সহজ মেঠো জ্ঞান ভরসা দেয়। বাল্যবিবাহ নিয়ে আঁকা একটি পোস্টারে তারা জানিয়ে দিয়েছে এ হল দণ্ডনীয় অপরাধ আর এর প্রতিরোধে হেল্পলাইন নম্বরটাও তারা দিতে ভোলেনি। বড়দের প্রতি তাদের প্রশ্ন, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ হচ্ছে দেখেও সমাজ চুপ কেন? কাঁচা হাতে আঁকা পোস্টার থেকে উঠে আসা প্রজ্ঞা আর প্রশ্নগুলো কাঁচা নয় মোটেই। তাদের আচার, সংস্কৃতি, সমস্যা, আদিবাসী পাড়া-কলোনি পাড়ার বিভাজন - নিজেদের জগতের এইসব বাস্তবতাই উঠে এসেছে তাদের সৃষ্টিতেও। ছাত্রছাত্রীরা বলছিল এই পোস্টার বানানোর পর্যায়ে তারা কেমন করে লিঙ্গ আর ধর্মের দূরত্বগুলো ঘুচিয়ে বন্ধু হয়ে উঠেছে। ‘এবং আলাপ’ আর ‘দিশা’-র ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে ‘আলাপ মিলাপ’ কর্মশালাগুলো হয়েছিল সেগুলো তাদের নিজেদের আশপাশকেই চিনতে শিখিয়েছে নতুন করে। জাত-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ঘিরে বেড়ে চলা আক্রোশে ছিন্নভিন্ন পৃথিবীর কথা পড়তে পড়তে বিধ্বস্ত মন বালিদ্বীপে এসে খানিক স্বস্তি পায়।
পোস্টার পর্ব সেরে আমি চারদিক ঘুরে দেখি। গমগম করছে স্কুলপ্রাঙ্গণ। শামিয়ানা টাঙানো, মাটিতে শতরঞ্চি পাতা। অঞ্চলের মানুষজন বসে আছেন, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা চলেছে। মহিলারাই সংখ্যায় বেশি। একটু বসি তাঁদের কাছে। পান খাওয়া হচ্ছে ভাগাভাগি করে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বহু মহিলা এসেছেন। দুঁদে সংগঠক তাঁদের অনেকেই। অল্প সময়েই দূরত্ব মুছে যায়, আমি জানতে চাই তাঁদের কাজকম্ম-ঘরকন্নার কথা, তাঁরাও আমার খবর নেন। মশকরা হয়। সুখদুঃখের কথা হয়। মহিলাদের অনেকেই বলছিলেন বিধ্বংসী আয়লা পরবর্তী তাঁদের সংগ্রামের কথা, ছেলেমেয়েদের ঘিরে তাঁদের স্বপ্নের কথা। কিছু মণিমুক্তো সঞ্চয় হয় - মুখে বয়সের কাটাকুটি, মাথায় চন্দনের ফোঁটা, আর গলায় কন্ঠীধারী প্রৌঢ়ার ছবি ফোনে তুলে রাখছেন পড়শি মহিলা। আমিও মনের ক্যামেরায় তুলে রাখি সে ছবি...
ইতিমধ্যে মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। ‘দিশা’ আর ‘এবং আলাপ’-এর সদস্যরা বলছিলেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা, এই অনন্য আলাপ মিলাপ কর্মসূচি-র জন্ম আর যাত্রার কথা। ভাটির দেশের মানুষেরা জানেন কান্ডারি দড় না হলে খাল-বিল-নদী-নালা-র দেশে ঘোর বিপদ। আগামীর কান্ডারি তো এই কিশোর কিশোরীরা। তাই জীবনের উজান ঠেলার জন্য তাদের তৈরি করতে হবে। হাত লাগাতে হবে সবাইকে। এলাকার চারটে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মী এবং দিশার সদস্যরা এক জায়গায় এলেন। পাশে ছিল ‘এবং আলাপ’। নানান বিষয়ে আলাপ আলোচনা আদান প্রদান শুরু হল, জাতপাত ধর্ম লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্যকে প্রশ্ন করার পর্ব শুরু হল। অশুভ শক্তির প্ররোচনায় দীর্ঘসময় ধরে পাশাপাশি থাকা মেহনতি মানুষের নিজেদের মধ্যে বেড়ে ওঠা দূরত্বটাই পারস্পরিক অবিশ্বাস আর একে অন্যের বিষয়ে অজ্ঞতার কারণ এইটা বুঝে স্বল্পমেয়াদী আর দীর্ঘমেয়াদী নানান লক্ষ্য গ্রহণ করা হল। মনে রাখা দরকার কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত পড়ুয়ারা পড়াশোনা আর স্থানীয় মানুষেরা নিজের নিজের পেশায় ব্যস্ত। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে এই কর্মসূচিকে সযত্নে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছিলাম সেদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে। আমি এর আগে বালি দ্বীপে যাইনি, কিন্তু সেদিনের অভিজ্ঞতা বুঝিয়ে দিল কত মানুষের অনলস শ্রম আর মূল্যবান সময় দিয়ে লালিত হয়েছে এই কর্মসূচি।
মঞ্চে আদিবাসী সমাজের মেয়েদের ঝুমুরের তালে দর্শকের আসনে থাকা স্থানীয় মহিলাদের তাল মেলাতে দেখি। মুসলমান মেয়েদের বিবাহগীতি সমাজের বিধিনিষেধে শেষ পর্যন্ত মঞ্চস্থ হতে না পারলেও মুসলিম সমাজেরই কিশোরী মেয়েদের গলায় চমৎকার বাংলা গজল শোনার অভিজ্ঞতা হল। লোকগানের সঙ্গে ছেলেমেয়েরা বাউল বেশে নাচ দেখালো। সুন্দরবনের ভূমিপূত্র ভূমিকন্যাদের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাও শুনছিলাম। অনেকেই এখন শহরবাসী পেশাগত কারণে, কিন্তু নিবিড় যোগ তাঁদের নিজের নদী-মাটির সঙ্গে। বুঝতে পারছিলাম আলাপ মিলাপ এক বহুস্তরীয় বহুমাত্রিক মিলনোৎসব।
নদীর দেশে এমন অনুষ্ঠানে জয়া মিত্র থাকবেন না এমন হয় নাকি! দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতালব্ধ প্রজ্ঞা থেকে তিনি সবাইকে বলছিলেন মিতব্যয়ী হতে, এই সুন্দরবনের জল জমি জঙ্গলকে হেলায় না হারাতে। এই সম্পদ যার তারাই তাকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখতে পারবে। প্রকৃতি আর মানুষের এক অনন্য আলাপ মিলাপের নামই তো সুন্দরবন।
মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী রত্নাবলী রায় মঞ্চে কয়েক মিনিটের কথাবার্তায় গ্রামের মহিলাদের মন জিতে নিলেন। মেয়েদের মন খারাপের খোঁজ কেই বা রাখে? সকলের মন বুঝে, সংসারের যাবতীয় খুঁটিনাটির যত্ন নিয়ে, সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটনির পরে মনের উপর যে যন্ত্রণার পরত পড়ে সেই ব্যথার কথা এভাবে কেউ জানতে চাইছে সেটা তাঁদের যে কতখানি মনে ধরেছিল তা তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট। মনের রোগে ভোগা মানুষটিকেও টেনে নেওয়া হোক কাছে, তাকেও বোঝার চেষ্টা চলুক, ‘নর্মাল’ আর ‘অ্যাবনর্মাল’ এর মধ্যেও বিস্তৃত হোক আলাপ মিলাপ তাহলেই তো তথাকথিত ‘স্বাভাবিকতা’-র ধারণা ভাঙা সম্ভব হবে। আলাপ মিলাপের মধ্যে ঠাঁই পাক মনের রোগে জর্জরিত মানুষটার প্রলাপও।
আলাপ মিলাপ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৮০ জন পড়ুয়া স্বেচ্ছাকর্মীকে সার্টিফিকেট বিলির পর্বে দেখলাম মায়েদের কেউ কেউ কেঁদে ফেলেছেন মঞ্চে সন্তানদের কাজের স্ব্বীকৃতি পেতে দেখে। এ পরম প্রাপ্তি তাঁদের। তাঁদের এই আবেগ সংক্রমিত হয় আমার মনেও।
অনুষ্ঠান শেষের দিকে যখন, তখন গিয়ে বসি ফজিলা দাদির কাছে। নিজের জায়েদের সঙ্গে বসে আছেন যে বেদিতে তার উপর পতপত করে উড়ছে সাবিত্রীবাঈ ফুলে, বেগম রোকেয়াদের বাণী লেখা পোস্টার। শুনি তাঁদের জীবন সংগ্রামের কথা। দাদিরা আমাদের কাছে টেনে নেন। কোলে বসান। সবাই মিলে ফটো আর সেলফি তুলি। ঠিকানা আর ফোন নম্বর চালাচালি হয়।
বেলা শেষ হয়ে আসে, ফেরার পালা এবার। স্কুলের বাইরে এসে একটু ইতিউতি করি। দেখি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানে বসে ছেলেমেয়েরা আড্ডা দিচ্ছে। গর্ব হয় ওদের দেখে। আধা গ্রাম আধা শহরে কাটানো নিজের স্কুলজীবনের কথা মনে হয়। আমাদের জড়তা ওদের শরীরের ভাষায় অনুপস্থিত দেখে নিশ্চিন্ত হই।
এই ছেলেমেয়েদের দেখে মনে হয় সারা পৃথিবী জুড়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি ওরা কত আন্দোলন করছে। মনে পড়ে অকুতোভয় চতুর্দশী সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের কথা, জলবায়ুর বিবর্তন আর উষ্ণায়ন নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদের প্রশ্ন করে চলেছে, যার অনুপ্রেরণায় বিশ্বজুড়ে ছাত্রছাত্রীরা ইউথ স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট মুভমেন্ট শুরু করেছে; মনে পড়ে মার্কিন মুলুকে ফ্লোরিডার মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বন্দুকধারী আততায়ীর হাতে ১৭ জন পড়ুয়ার প্রাণ হারানোর পর অষ্টাদশী ছাত্রী এমা গনজালেসের গান ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সেই অসাধারণ বক্তৃতার কথা; মনে পড়ে ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমির কথা যে ইসরায়েলি জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন সপাটে চড় কষিয়েছিল ইজরায়েলি সৈনিকের গালে। বালিদ্বীপের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কাটানো একটা গোটা দিনের পর মন থেকে ক্রাইস্টচার্চ পুলওয়ামার ছায়া সরে গিয়ে জায়গা নেয় সারা বিশ্ব জুড়ে ছোটোছোটো সোনার টুকরো ছেলেমেয়েদের ঝলমলে মুখগুলো।
খেয়াঘাট থেকে নৌকোয় উঠি আমরা, দূরে মিলিয়ে যেতে থাকে বালিদ্বীপের মানুষদের মুখ। সকালে গদখালি থেকে নৌকোয় উঠে দেখেছিলাম ঢালু নদীপাড় ধরে দরমার জাল – জেনেছিলাম জোয়ারের জলের তোড়ে মাটি যাতে ধুয়ে না যায় এ তারই ব্যবস্থা। কিন্তু শুধু এই প্রতিরোধটুকু তো সুন্দরবনকে বাঁচাতে পারবে না, ম্যানগ্রোভই তার একমাত্র রক্ষাকবচ। সারা বিশ্ব জুড়ে খুদে খুদে ছেলেমেয়েরা নানা অন্যায় অবিচার নৃশংসতার বিরুদ্ধে ওই দরমার জালের মতো প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়ে বড়োদের কাছে জানতে চাইছে: তোমরা কবে ম্যানগ্রোভ হয়ে উঠবে?
Tagsadolescence age of consent age of marriage caa child marriage corona and nursing covid19 Covid impacts on education domestic violence early marriage education during lockdown foremothers gender discrimination gender identity gender in school honour killing human rights intercommunity marriage interfaith marriage lockdown lockdown and economy lockdown and school education lockdown in india lockdown in school lockdown in schools love jihad marriage and legitimacy memoir of a nurse misogyny nrc nurse in bengal nursing nursing and gender discrimination nursing in bengal nursing in india online class online classes during lockdown online education right to choose partner school education during lockdown social taboo toxic masculinity transgender Women womens rights
সুন্দর লেখা ৷ সুন্দর অনুষ্ঠান ৷ উপস্থিত থাকতে পেরে খুব ভাল লেগেছে ৷
জ্যোতিরিন্দ্রনারায়ণ লাহিড়ী
সম্পাদক
শুধু সুন্দরবন চর্চা