• গন্ধটা খুব সন্দেহজনক: সঙ্গী বাছার অধিকারের ওপর আক্রমণ কেন?


    1    260

    December 16, 2020

     

    পুজোর আগে থেকে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা নিয়ে আমরা আলোচনা, বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছি। একটা প্রশ্ন উঠে এসেছে যে দেশে যখন করোনার কারণে কোটি কোটি মানুষ বিপন্ন, তখন হঠাৎ মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানো নিয়ে এত ব্যস্ততা কেন? বিশেষ করে যখন দেখা যাচ্ছে যে গোটা দেশে ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছিল। এখন যখন করোনার সময় অনেক পরিবার, বিশেষ করে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে, ১২/১৩ বছরের মেয়েদেরও বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, তখন তো সেই সমস্যাটার মোকাবিলা আগে করা দরকার। ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করাটা জরুরি হয়ে উঠল কেন?

    আমাদের দেশে সামাজিক অসাম্যের কারণে মেয়েদের অনেক সমস্যা রয়ে গিয়েছে। শিক্ষার সুযোগ, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য পরিষেবা, চাকরি বা স্বাধীন পেশা বেছে নেওয়ার অধিকার, আর কাজের জায়গায় যৌন হেনস্থার শিকার না হয়ে কাজ করা, পরিবারের ভেতরে বা বাইরে মার না খেয়ে বেঁচে থাকা, সম্পত্তির অধিকার, এই রকম প্রায় সব বিষয়েই মেয়েদের অসাম্যের শিকার হতে হয়। এবং আলাপ গত ১৮ বছর ধরে এই নিয়ে কাজ করে চলেছে।

    মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করবার আলোচনায় আমরা বেশ কিছু মানুষ ও সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি, সেই আলাপ আমরা ফেসবুক লাইভে প্রচারও করেছি। তাতে একটা কথা উঠে এসেছে যে ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়াটাই মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ, জীবিকার সুযোগ, স্বাস্থ্যের পরিষেবা না পাওয়ার মূল কারণ নয়। আমরা দেখেছি মাত্র ৭% মেয়েরা বলেছে যে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, স্কুল না থাকা, দূরে হওয়া, পরিবারের অনীহা, মেয়েদের শিক্ষা ও পেশাদারি কাজের প্রয়োজনীয়তার প্রতি সমাজের উপেক্ষা, ঘরের নানান কাজের বোঝা, এই রকম আরও বহু কারণ এর জন্যে আরও বেশি দায়ী। তাই বিয়ের বয়স পিছিয়ে গেলে, মেয়েদের পড়াশোনা কিছুটা বাড়লেও বেশি বাড়বে বলে মনে হয় না। পাশাপাশি করোনার সময় নাবালিকা বিয়ে বাড়ছে বলেও আমাদের নানান আলোচনা, যেগুলোও আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছি, তা থেকে দেখতে পেয়েছি। কাজেই নানান বুনিয়াদী সমস্যার মোকাবিলা না করে, কেবল বিয়ের বয়স বাড়িয়ে মেয়েদের সুবিধে হবে বলে আমরা মনে করি না।

    সঙ্গী বাছার অধিকারের ওপর আক্রমণ কেন?

    আমাদের সমাজ মেয়েদের যে নানান অধিকারকে অস্বীকার করে, তার মধ্যে একটা প্রধান অধিকার হল, সঙ্গী বাছার অধিকার। গত কয়েক বছর ধরে সমকামী আন্দোলন, রূপান্তরকামী আন্দোলন, নানান শারীরিক-মানসিক লিঙ্গচিহ্ন ও লিঙ্গবোধের নানান মানুষের সামাজিক অধিকারের আন্দোলন আমাদের সামনে এই সমস্যাটাকে অনেক বেশি করে তুলে ধরেছে। আমরা দেখেছি কারও কোনো ক্ষতি না করে দুটি মানুষ যদি একসঙ্গে বাস করতে, বাঁচতে, ঘর বাঁধতে চায়, তাও আমাদের সমাজ, পরিবার সহ্য করতে পারে না। কেবল বাধা নয়, পরিবারের বা সমাজের ‘সম্মান’ বা ‘অনার’ বাঁচানোর নামে অনেক সময় তাদের খুন করা হয়। তাই মানুষের অধিকার নিয়ে, নারী পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, সকলের সঙ্গী বাছার অধিকার একটা গুরুত্বপূর্ণ অধিকার।

    আমরা দেখেছি বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের নিজেদের সঙ্গী বাছার স্বাধীনতা কখনোই স্বীকৃত নয়। পরিবার বা সমাজ যাকে ঠিক করে দেবে, তাকেই বিয়ে করতে হবে। আমাদের আলোচনায় এও দেখা গিয়েছে বাল্যবিবাহ বিরোধী যে আইন আছে, তার ব্যবহারও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাধীন ইচ্ছের বিয়ের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে। দুই পরিবার মিলে নাবালক নাবালিকার বিয়ে দিলে সমাজ বা সরকার তত মাথা ঘামায়নি। এমন কী এই যে বয়স বাড়ানোর আইন আনা হচ্ছে, তার জন্যেও মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন কেউ মনে করেনি!

    আমাদের যে নানান বিশ্বাস, যার ওপর ভিত্তি করে আমাদের ধর্ম, সমাজ, পুরুষ নারীর ভূমিকা বিষয়ে ধারণা গড়ে ওঠে, তার বীজতলা কিন্তু পরিবার। আমাদের নানান বিশ্বাস, যা আমাদের সামাজিক আদর্শ এমন কী অনেকাংশে রাজনীতিতে দল বেছে নেওয়াকেও প্রভাবিত করে তার শুরু পরিবারের ভেতর। এই পরিবারের পরিবেশ যদি মুক্ত হয়, যদি সেখানে নানান ধর্ম, নানান বিশ্বাসের মানুয ভালোবাসা আর সম্মানের ভিত্তিতে ঘর বাঁধে, সন্তান প্রতিপালন করে তবে তো সেখানে অন্য ‘জাতের’ নামে নানান ভুল ধারণা ছড়ানো যায় না। কারণ সেই ‘অপর’ তো আমার নিজের স্বামী বা স্ত্রী বা বাবা কিংবা মা! তাহলে তাতে অসুবিধে কার?

    আমরা যে সমাজে বাস করি সেখানে রাষ্ট্র আমাদের সমাজকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে, রাষ্ট্রের আইন ন্যায়-অন্যায় নির্ণয় করে শাস্তি দিতে পারে। এবং আলাপ যেহেতু সমাজ নিয়ে কাজ করে তাই রাষ্ট্রের সঙ্গেও আলাপ চালানো, নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ চালানো আমাদের পক্ষে জরুরি। আমাদের তাই প্রশ্ন এই যে, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ করার প্রস্তাব এবং তার পরেই কয়েকটি রাজ্যে ‘শুধুমাত্র ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে বিয়ে’ তথা ‘লাভ জিহাদ’-এর দোহাই দিয়ে ভিনধর্মে বিয়ের বিরোধী আইন লাগু করার প্রস্তাব এবং এই ধরনের বিয়ের পাত্র পাত্রীদের বন্দী করা, বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘটনা, এর ফলে আমাদের দেশের সামাজিক লাভ কী হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে আলোচনায় মনে হয়েছে, যে এই বয়স বাড়ানোর ফলও হবে স্বাধীন ইচ্ছের বিয়েতেই আরও বাধা আনা। তাকে বেআইনি করে দিয়ে বিশেষ করে ছেলেদের জেলে পোরা। এমনিতেও আমাদের আইনে ছেলেমেয়ে পালিয়ে বিয়ে করলে ছেলেদের জেলে পচে মরতে হয়। মেয়েদের হোমে, সেও জেলের চেয়ে খুব ভালো নয়, তবে অপরাধীর ছাপটা গায়ে লাগে না। এই আর কী!

    এত রক্ত কেন?

    আমরা জানি যে কোনও রকমের দাঙ্গা হাঙ্গামায় পুরুষরা তো মারা যায়ই, মেয়েদেরও তাৎক্ষণিক হিংসা ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির ফল ভুগতে হয়। সব রকমের যুদ্ধ বা দাঙ্গায় মেয়েদের ধর্ষণ একটা আবশ্যিক অঙ্গ। চিরকালই ছিল, এখনও আছে। এছাড়া দাঙ্গায় পরিবারের মানুষ, সম্পত্তির ক্ষতি হলে সেই ধবংসস্তুপের ভেতর উনুন ধরিয়ে বেঁচে যাওয়া মানুষদের বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব মেয়েদেরই নিতে হয়। নতুন করে রোজগারের জন্য পথে নামতে হয়। তাই যে কোনও সামাজিক সংঘর্ষ পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েদের জীবনও কঠিন করে তোলে। কিন্তু আমরা দেখছি আমাদের দেশে নানান ধর্ম, বর্ণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। এই সংঘর্ষকে বাড়ানোর জন্য যে সব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘লাভ জিহাদ’। বলা হচ্ছে যে মুসলমান ছেলেরা জোর করে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করছে। এর উদ্দেশ্য হল সংখ্যাবৃদ্ধি করা। কিন্তু কোনও সংগঠিত প্রচেষ্টার কোনও প্রমাণ কেউ দেখাতে পারছেন না। বরং যে ‘কেস’গুলো আমাদের সামনে আসছে, তাতে মেয়েরা পরিষ্কার বলছে যে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছে। কিন্তু মেয়েদের কথা কে শোনে!

    এখানেই আমাদের প্রশ্ন: দেশে নানান সমস্যা রয়েছে। মানুষ গরিব, চাকরি নেই, মেয়েদের অধিকার নেই, পানীয় জল নেই, দূষণ বাড়ছে, পরিবারের ভেতরে ও বাইরে মেয়েদের ওপরে হিংসার ঘটনা রোজ কেন, ঘন্টায় ঘন্টায়, মিনিটে মিনিটে ঘটছে, সেখানে ভালোবেসে করা বিয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়াটা একটা প্রাথমিক সামাজিক আইনি দায়িত্ব কেন? এটা কি কোনও সমস্যা? এর এত অগ্রাধিকার কেন? আমাদের তো বলা হয়েছিল আমাদের দেশের গোড়ার কথাই হল ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’। তাহলে হঠাৎ ধর্মীয় পবিত্রতা, বর্ণের পবিত্রতা এত বেশি করে জরুরি হয়ে উঠল কেন? এত রকমের মানুষের দেশে যদি নানান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালোবেসে বিয়ে হয়, তাতে কার ক্ষতি? আর বিদ্বেষ বাড়লে তো ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সব মানুষের বিপদ। তবে কেন?

    মেয়েদের অধিকার, মানুষের জন্য আরেকটু ভালো জীবনের কথা বলতে গেলে কিন্তু এই আলোচনা করতেই হবে।

    আমাদের তাই দাবি, সঙ্গী বাছার অধিকারকে নারী পুরুষ সহ সকল লিঙ্গ পরিচয়, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি দিতে হবে। কোনও রকম সংকীর্ণ সামাজিক বা ধর্মীয় স্বার্থে এই অধিকারের ওপর আঘাতের অর্থ সামাজিক ও লিঙ্গ সাম্য আন্দোলনের ওপর আঘাত। আমরা সেই আঘাতের বিরুদ্ধে আলাপ ও আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    বিগত এক দশকের বেশি সময়ে দেশজুড়ে নানা রাজ্যে সামাজিক-পারিবারিক সম্মানের নামে এবং অতি সম্প্রতি ভিনধর্মে বিয়ের বিরোধী আইনকে হাতিয়ার করে সঙ্গী বাছার স্বাধীনতাকে খর্ব করে হিংসা-হত্যা-হেনস্থার বেশ কিছু ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি আমরা, এবং আরো নানাভাবে এরকম ঘটনাগুলো এর পরেও তুলে ধরব বারবার।   

    ভালোবাসার ‘অপরাধে’...

    ২০০৭। হরিয়ানা।

    মনোজ ও বাবলি নামে ২৩ ও ১৯ বছরের স্বামী স্ত্রীকে পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে একই গোত্রে বিয়ের অপরাধে বাস থেকে নামিয়ে খুন করে দেহ নালায় ফেলে দেওয়া হয়। https://web.archive.org/web/20100412144515/http://www.hinduonnet.com/fline/fl2414/stories/20070727003103500.htm

    ২০১৬। তামিলনাড়ু।

    দলিত যুবক শঙ্কর কে কাটারি ও কাস্তে নিয়ে এক রবিবার সন্ধ্যায় বস টার্মিনাসে সবার সামনে কুপিয়ে মারা হয়। কারণ সে ও কৌশল্যা নামে একটি মেয়ে মেয়েটির পরিবারের আপত্তি না মেনে বিয়ে করেছিল। https://www.deccanchronicle.com/nation/crime/150316/81-honour-killings-in-three-years-in-tamil-nadu.html

    ২০১৭। কলকাতা।

    যখন ফেসবুকে ১০০-র বেশি আর্ন্তধর্ম দম্পতিদের ‘লাভ জিহাদ’-এর উদাহরণ হিসেবে লিস্ট করে চিহ্নিত করা হল তখন রামিজ ও লিজা (কলকাতা) ও শহিদ ও তার বান্ধবী (বর্ধমান) পুলিশের সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ করে যে তারা ডেথ থ্রেট মা খুনের হুমকি পাচ্ছে। https://indianexpress.com/article/cities/kolkata/couple-in-viral-love-jihad-list-gets-death-threats-in-kolkata-files-complaint-5060194/

    ২০১৮। ছত্তিসগড়।

    ৩৩ বছর বয়সি মহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকি ২৩ বছরের অঞ্জলি জৈনকে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে আরিয়ান আর্য নাম গ্রহণ করে। সে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে যে তার প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত স্ত্রীকে স্ত্রীর বাবা মা তুলে নিয়ে গিয়েছেন। https://www.ndtv.com/bengali/muslim-man-converted-to-marry-hindu-wifes-parents-took-her-back-1903033

    ২০১৮। পশ্চিমবঙ্গ।

    মুসলিম মেয়ে জেহানা ও হিন্দু ছেলে করণের প্রেমে পড়ে। কিন্তু তার পরিবার এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল। যখন জেহানা করণের সঙ্গে পালিয়ে যায়, তার বাবা তাকে ধরে আনেন। জেহানার দেহ বর্ধমান শহরের থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে এক ক্ষেতে পাওয়া যায়। পুলিশের জেরায় তার বাবা স্বীকার করেন যে তিনিই মেয়েকে খুন করেছেন। https://www.anandabazar.com/state/father-brother-killed-teenage-sister-in-burdwan-as-she-loved-a-guy-from-different-religion-dgtl-1.862401

    ২০১৯। পশ্চিমবঙ্গ।

    ভুতনি পুলিস থানা অধীনে মহেন্দ্রতলা গ্রামে এক স্বামীস্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা তাদের ১৬ বছরের মেয়েকে খুন করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। তার কারণ পাশের গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক। https://www.news18.com/news/india/couple-arrested-in-west-bengal-for-suspected-honour-killing-of-teenage-daughter-2220695.html

    ২০২০। পশ্চিমবঙ্গ।

    হাঁসখালি অঞ্চল থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। দেখা যায় যে একটি মেয়ে ভিনধর্মী একটি ছেলেকে বিয়ে করেছিল। পুলিশ তাকে চাপ দিচ্ছে যাতে সে ছেলেটিকে ছেড়ে বাপের বাড়ি ফিরে যায়।  https://www.anandabazar.com/state/marriage-in-a-different-religion-police-allegedly-putting-pressure-on-the-married-girl-1.1196140

    ২০২০। তামিলনাড়ু।

    দুর্গা ও নাসের (দুটি নামই পরিবর্তিত) চার বছর ধরে সম্পর্কে ছিল। তারা পালিয়ে গিয়ে হিন্দুমতে বিয়ে করে। কিন্তু দুই পরিবার ই এই বিয়ে ভেঙে দিয়ে তাদের ঠিক করা পাত্র ও পাত্রীকে বিয়ে করবার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে। https://www.newindianexpress.com/states/tamil-nadu/2020/jan/29/fearing-for-life-interfaith-couple-from-in-sivagangai-seek-protection-2096060.html

    ২০২০। উত্তর প্রদেশ।

    মৈনপুরী জেলার ফরানজি গ্রামেএকটি ২৪ বছরের মেয়েকে তার ভাইয়েরা গুলি করে মেরে জমিতে পুঁতে দিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘটনাটি অনার কিলিং-এর। মৃত চন্দ্রাণী কাশ্যপের ভাই সুনীল ও সুধীর ও মা সুখরাণীকে গ্রেফতার করা হলে তারা বলে যে সে পরিবারের অমতে ২৬ বছরের অর্জুন যাতভ নামে একটি ছেলেকে বিয়ে করে দিল্লি চলে গিয়েছিল ও ৮ বছর তার সঙ্গে ছিল। এই তার অপরাধ।  https://www.news18.com/news/india/24-year-old-woman-killed-by-brothers-in-ups-mainpuri-police-suspects-honour-killing-3171023.html

    ভিনধর্মে বিয়ের বিরোধী আইনের ফল

    ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে এই আইন প্রযুক্ত হওয়ার পরেই লখনৌ শহরে পুলিশ গায়ের জোরে একটি হিন্দু মেয়ে রায়না গুপ্তা ও মুসলমান ছেলে মোহাম্মদ আসিফের বিয়ে আটকায়। এই বিয়েতে হিন্দু ও মুসলিম দুই প্রথাই মানা হচ্ছিল। দুটি পরিবারই এই বিয়ের সপক্ষে, তাঁরা বলেন এই বিয়েতে ধর্মান্তকরণের কোনও ব্যাপার ছিল না, কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে দেয়।

    একজন ২৭ বছরের মুসলিম যুবক রসিদ ও তার ভাইকে মোরাদাবাদে গ্রেফতার করা হয়। কারণ, তারা ২২ বছরের একটি মেয়ের সঙ্গে রসিদের বিয়ে নথিবদ্ধ করবার চেষ্টা করছিল। মেয়েটি বিয়ের আগে ধর্ম বদলে মুসকান জাহান নাম নেয়। এই বিয়েতে তার পূর্ণ সম্মতি ছিল। ওরা তিনজন যখন উকিলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, তখন বজরঙ্গ দলের সদস্যরা ওদের ধরে থানায় নিয়ে আসে। জোর করে স্ত্রীর ধর্মান্তকরণের অভিযোগে রসিদ উত্তরপ্রদেশের জেলে। মুসকান জাহানকে যখন পুলিশ ‘শেলটার হোমে’ নিয়ে যাচ্ছিল তখন চারপাশের বজরঙ্গ দলের লোকেদের মুসকান বলে, “আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমি ২২ বছর বয়সি। আমি আমার নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করেছি।” মুসকানের কথার কি কোনও দাম নেই?

     
     



    Tags
     



    1 Comment

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

     



    তথ্য নীতি | Privacy policy

 
Website © and ® by Ebong Alap / এবং আলাপ, 2013-24 | PRIVACY POLICY
Web design & development: Pixel Poetics