• মেয়ে করবে বিয়ে, ওদের এত কেন ইয়ে : ফেসবুক ও জিমেইল আলাপ সংগ্রহ


    0    239

    December 16, 2020

     

    'মেয়ে করবে বিয়ে... ওদের এত কেন ইয়ে?'—সঙ্গী বাছার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে খোলা মনে মতামত জানাবার ডাক দিয়েছিলাম আমরা। ফেসবুক ও জিমেল-এর মাধ্যমে যাঁরা সাড়া দিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য অবিকৃতভাবে তুলে ধরা হল। এরপর আমরা এই মতামতগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনাও করব। চলতে থাকবে আলাপ। আপাতত আসুন দেখি লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ কিম্বা বয়স নির্বিশেষে সঙ্গী বাছার অধিকার ও সমাজের বাধানিষেধ নিয়ে জনমত কী বলছে।

    রাজশ্রী কর্মকার, উত্তর ২৪ পরগণা


    বিয়ে মানে দুটি মনের মিল সেখানে সংসার যখন করবে দুজন মানুষ তখন তাদের মনের মিল হবে কিনা সেটা জানা খুব দরকার তাই জন্য আমি এটলিস্ট মনে করি একটি মেয়ে অথবা একটি ছেলে উভয়েরই স্বাধীনতা থাকা দরকার যে সে বিয়েটা কাকে করবে এই বিষয়ে অবশ্যই বাবা মা দেখে দিতেই পারে ,অবশ্যই তাদেরও কর্তব্য আছে,অধিকার আছে বাবা-মা ই ছোট থেকে ছেলেমেয়েকে বড়ো করে, তবে সে ক্ষেত্রে বাবা-মার উচিত তাদের ছেলেমেয়েকে বলা তোমরা দেখো কি করবে, বিয়েটাতে তোমার মতামত আছে কিনা, তাদের সাথে বন্ধুর মত মেশা ,আর ভিন্ন ধর্ম হয়তো সমাজে বড়রা অনেকে মেনে নিতে পারেন না, এটা স্বাভাবিক সবার চিন্তাধারা এক হয়না। তবে একথাও মাথায় রাখা উচিত আমি সবকিছু আমার চাওয়া পাওয়া অন্যের ওপর সবসময় চাপিয়ে দিতে পারিনা ,যখন একটি মেয়ে বিয়ের বয়স হওয়ার উপযুক্ত হতে থাকে তখন তাদের প্রায় বেশিরভাগ বাড়ি থেকেই নানান বিধিনিষেধ দিয়ে দেওয়া হয়, সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও মেয়েদের অনেকাংশেই স্বাধীনতা নেই ,যেমন তাদের সেফটি। এটা হয়তো বিরোধিতা অনেকেই করবেন তবে,আমি মনে করি উভয়েরই স্বাধীনতা সমান হওয়া উচিত,যাইহোক যদিও এটা অন্য প্রসঙ্গ ,মূলকথা হলো সঙ্গী বাছার ক্ষেত্রে উভয়েরই মতামত আছে কিনা, এছাড়া দুজনকে খুব ভালো করে চেনা দরকার কোনো সম্পর্কে জড়ানোর আগে, এছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের বোঝা, জানা দরকার তারা কী পছন্দ করে, তাদের কী সমস্যা আছে, মেয়েটি বা ছেলেটি কীসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে সবকিছু। এক্ষেত্রে সবকিছু মানে সমাজ,পরিবার, দুজন মানুষ একে অপরের পরিপূরক।তাই সবাই সবাইকে বুঝতে হবে তাহলেই কোনো সমস্যা হবে না।

    সৌমেন মণ্ডল, কাটোয়া

    Je maa Baba ,paribar chhoto theke manush ,korlo ,tader kono dam nei ?? Bhalo thaka ki shudhu tar ? Paribar porijaner kono dam nei ?choto theke Jake manush korlam tar Bhalo Manda te poribar jadi na bhabe ke bhabbe ?Samaj ke jadi gurutta na debo ,tahole kiser samajikota ?

    অনির্বাণ সেনগুপ্ত, কলকাতা

    ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বিবাহ কেবল দুটি মানুষের মিলন না। দুটি পরিবারের বন্ধন। তাই অভিভাবকদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যে বাবা মা পৃথিবীতে এনেছেন, কত কষ্ট সহ্যর করে কত স্বার্থ ত্যাতগ করে মানুষ করে তুললেন তাদের আঘাত দিয়ে কি সত্যিই সুখী হতে পারা যায়?

    সুবিনয় দত্ত, কলকাতা

    লাভ জেহাদ ছাড়া আজকের এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এই ক্যাপশনটা কেমন যেন বেমানান লাগছে। আগেও একধরনের ইয়ে ছিল। আজকেও আর এক ধরনের। হয়তো আগামী দিনেও থাকবে। মানে যতদিন না শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজটা শেষ হবে। তবুও মেয়েরা আজ সবকিছু আস্তে আস্তে ভাঙ্গছে। তারা শিক্ষিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হচ্ছে। তাই বদলাতে হচ্ছে আইন ব্যবস্হাকেও। মেয়েরা যেমন শুধু আজ ছেলেকেই বিয়ে করছেনা, ভালো লাগলে একটি মেয়ে বন্ধুকেও বিয়ে করছে। আবার লিঙ্গ পরিবর্তন করে একটি মেয়েকেও চিরসাথী করে নিচ্ছে। অনেকেই আবার সিঙ্গেল মাদার হয়ে ভরপুর সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের দীর্ঘ অত্যাচার, যন্ত্রনা, লড়াই আর পরিশ্রমের ফল। তাতে ওদের এত কেন ইয়ে ইয়ে হলেও মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া থেমে থাকবেনা। কারন, যুগে যুগে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দরা থাকবেই। ইতিহাস এগিয়ে চলবেই।

    রীতা ঘোষ দে, কলকাতা

    আমাদের সমাজে চিরকালই দেখেছি যে কোনো নারী যদি কন্যাসন্তান প্রসব করে,তাহলে তাকে খুব অবহেলা বা ঘৃণার চোখে দেখা হয়।কিন্তু আমি মনে করি নারী হিসাবে জন্মগ্রহণ করাটা কোনো অপরাধ নয় বরং গর্বের।কারণ সমগ্র নারী জাতিই হলো ভবিষ্যত সন্তানসন্ততিদের জন্মের একমাত্র উৎস।সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীরাও আজকাল অনেক উন্নতি করছে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের থেকেও এগিয়ে আছে। তাই আজকাল নারীরাও তাদের স্বাধীনচেতা মনোভাব নিয়ে তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তারা তাদের অভিভাবকদের অপেক্ষাও ভালো নিতে পারে।আমি মনে করি বিবাহের ক্ষেত্রে একটি মেয়ে যদি তার পছন্দমতো কোনো বিধর্মী ছেলেকেও পাত্র হিসাবে নির্বাচিত করে তাতে দোষের কিছু নেই। কারণ আজীবন সে ওই পাত্রটিকে নিয়েই সংসার ধর্ম পালন করবে। বরং আমি মনে করি যে ওদের বিয়েতে যদি বাধা সৃষ্টি করে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকদের এই জোরখাটানো মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে।তাই যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের অভিভাবকদেরও এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সাথে মানিয়ে চলতে হবে।

    স্বাগতা রায়, মথুরাপুর,পশ্চিমবঙ্গ

    মেয়েরা আজও পরাধীন। তাদের ছোটোবেলা থেকেই বলে দেওয়া হয় যে তুমি মেয়ে, তোমাকে ওখানে যেতে নেই ওটা করতে নেই। জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারে বুঝি মেয়েরা? তাদের তো অনেক কিছু ভাবতে হয় পরিবারের কথা, সমাজের কথা। কিন্তু বিয়ে হল দুটো হৃদয়ে মিল দুটো পরিবারের সম্পর্ক । তবে এখন কিছুটা হলেও পরিবারও মেয়েদের পাশে আছে।

    স্বাগতা রায়কে মহেশ কুমার (কলকাতা)

    সময় এখন অনেক বদলে গেছে।

    মহেশ কুমারকে উড়ো চিঠি (ডায়মন্ড হারবার)

    সময় কিছুই বদলায়নি। মোড়ক বদলেছে, মন নয়…যারা সমাজের নামে গুন্ডাগিরি করে, তাদের মন না বদলালে সমাজ বদলায় না। সাধারণ মানুষের সাহস কোথায় সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে ঐ সব মানুষদের শত্রু হয়ে নিজের মনের মতো জীবন সঙ্গী বাছবে?

    অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর

    যে কোন মানুষের নিজের সঙ্গী বাছাই করার অধিকার আছে। ভারতের সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে।যদি দুটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একজন অপরজনকে ভালোবেসে একসঙ্গে থাকতে চান সেখানে তাদের মত কে সম্মান দেওয়া উচিত।

    সোমা ঘোষ, বর্ধমান

    মা তোমার চুল টা একটু খোলো তো দেখি কত বড়ো।
    একটু হেটে দেখাও তো।
    রান্না জানো তো?
    ঘর কন্যার কাজ পারো তো?
    মেয়ে তো বেশ ভালোই, চলুন দেনাপাওনার ব্যাপার টা ঠিক করা যাক।

    হ্যাঁ, সেই একই পদ্ধতি তে আজও মেয়ে বাছাই পর্ব চলে এসেছে।

    আজ দিন বদলেছে, সময় বদলেছে, কিন্তু মানুষ বদলায়নি, বদলায়নি সমাজ,বদলায়নি বস্তা পচা নিয়ম ।

    একবার এই সমাজ,নিয়ম,লোকে কী বলবে তা সব ভুলে গিয়ে আমাদের তালা বন্ধ হয়ে থাকা বিবেক কে জাগিয়ে তুলি, একবার মনুষ্যত্ব এর চোখ দিয়ে দেখা শুরু করি, একটা ছেলের মতো একটা মেয়েও তো মানুষ, তারও তো কিছু ভালোলাগা, ভালোবাসা, পছন্দ, ইচ্ছে বলে কিছু আছে ।
    একটা মেয়ে তো তার মনে মতো মানুষ কে খুজে ভালোবাস তে পারে, বিয়ে করতে পারে, কেনো বলুন তো প্রতিটা মেয়ে কে তার গল্প গুলো কে সত্যি করতে এতো লড়াই করতে হয়? কেনো বলুন তো একটা মেয়ে তার পছন্দ এর মানুষের সাথে বিয়ে করতে চাইলে এতো বাধা এতো নিষেধ?

    এতো কেনো খরবদারি প্রতিবেশি দের? শান্তি পান খবরদারি করে?
    আচ্ছা এই যে প্রতিবেশি রা আছে তারাও এতো এক সময় যুবক যুবতী ছিলেন, এমনও তো হতে পারে যে সেই বয়সে আপনারাও কাউকে ভালোবেসে ছিলেন, তারপর বাড়ি থেকে জোর করে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়েছে । আপনি যে কষ্ট টা পেয়েছেন, সেটার আরো একবার পুনরাবৃত্তি না করে, তাদের ভালোবাসা কে মিলিয়ে দেবার একবার চেষ্টা করে দেখুন, শান্তি পাবেন । কিছু না হলেও যে কষ্ট আপনি পেয়েছেন সেটা কিছু টা হলেও কম হবে। কথাতেই তো আছে " সবার উপর মানুষ সত্য" তাহলে জাত পাত, বর্ণ, ধর্ম, নিয়ে কেনো এতো খুন যখম?

    একটা মেয়ে কাউকে যখন ভালোবাসে, তখন তারা আগামী ৫০ টা বছর একসাথে চলার স্বপ্ন দেখে । ভালো থাকার, ভালো রাখার কথা দেয় । তাহলে কেন এই সমাজ বারবার রাবারের মতো এসে এই সব কিছু মুছে দেয়?
    লাভ ম্যারেজটা এখন বিলুপ্তপ্রায় হতে চলেছে।
    একসময় সমাজ তৈরি হয়েছিলো মানুষ এর জন্য, আর আজ মানুষ কে সমাজের মতো করে তৈরি হতে হছে । সেই সমাজ যে সমাজে ভালোবাসা কে ভেঙে দেওয়া হয়, যে সমাজে মেয়েদের কে প্রতিনিয়ত গুমরে গুমরে মরতে হয়।

    সায়ন্তনী অধিকারী

    মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু ছেলেরা বিয়ে করে, ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। অর্থাৎ মেয়ের নিজের মতামত গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই প্রথার সংগে সাযুজ্য রেখেই এই ভিন্নধর্মাবলম্বীকে বিয়ের ব্যাপারে আইন এসেছে। কারণ নারী শরীরের মালিকানা সেই মনুস্মৃতির যুগ থেকেই সমাজ অথবা পুরুষের উপর দেওয়া আছে। মেয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের 'সম্পত্তি' হাতছাড়া হয়ে যায়, কারণ মেয়ে অন্য ধর্মের সন্তান ধারন করবে। তাই তাদেরকে নিয়ম ও আইনের শিকলে বাঁধার চেষ্টা করা হয়ে এসেছে এবং হচ্ছে। গত কয়েকবছরে হিন্দু মেয়ের মুসলমান পুরুষকে বিয়েকে লাভ জিহাদ বলে নামাংকিত করেছে বিজেপি, অর্থাৎ এই 'যুদ্ধের' দ্বারা হিন্দুর সংখ্যাগরিষ্ঠতা কে নষ্ট করার পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে বলেই তারা প্রচার করছে। কিন্তু শুধু উত্তরপ্রদেশ কেন, প্রকৃতপক্ষে, বাংলার ইতিহাস ঘেঁটে দেখলেও দেখা যায় প্রায় ১০০ বছরের উপর হিন্দু দলগুলির " হিন্দু খতরে মে হ্যায়" নামক হাস্যকর যুক্তি প্রচলিত আছে। মেয়ের তাই বিয়ে করার অধিকার নেই, ভিন ধর্ম বা ভিন জাত যাই হোক না কেন।

    মধুবন্তী গুপ্ত, শান্তিনিকেতন

    Biye bhalo… kintu anek bhin dhormer byakti premer faade fele biyer chhole naaripaachar kore… tai sabdhan howa uchit.ei sabdhanotar jonnoi pitamata ektu iye koren. tnara kintu prokrito hitakankhi. tai tnara sabdhan kore den.

    শম্পা মোহান্ত, জলপাইগুড়ি


    আমি যখন লেখিকা সত্তায় থাকি, তখন আমার সঙ্গী চাই একটা সাদা খাতার মতো।যেখানে ইচ্ছা মতো কাটাকুটি করা যায়, কবিতা লেখা যায়। যখন আমি একজন ডাক্তারের আসনে নিজেকে কল্পনা করি , আমার সঙ্গীটি যেন আমার গলায় ঝোলানো স্টেথোটার মতো হয়।যার সাহায্যে জীবনের লাবডুব মাপা যায়। আমি যদি অষ্টাদশী হই- স্বপ্ন দেখবো জাস্টিন ট্রুডো কে নিয়ে। আমি যদি গান-পাগল হই, সঙ্গী চাইবো তিমিরের মতো, ছেলেটা বড়ো দরাজ গলায় গায়- খনিজ প্রেমের গান।আমি নাস্তিক হলে- যে কোন একজন কমরেডকে চাইবো জীবনে। আস্তিক হলে ; নিরাকার ঈশ্বরকে, যিনি দৃঢ় বোধদাতা।আমি সিরিয়াল পাগল কুমারী হলে রাহুল সুধীরের মতো সঙ্গী চাইবো।
    কী ভাবছেন?? পাগলের প্রলাপ চলছে? সব কিছুকে মিলিয়ে দেখুন অনেকগুলো কোয়ালিটি খুঁজে পাবেন; আর ভুলেও ভাববেন না, এগুলোর যে কোন একটা নিয়ে একটা গোটা জীবন কাটিয়ে দেবেন।তাই একটা মানুষ খুঁজুন। যে ডালে নুন পোড়া হলেও খাবে নয়; খেতে পারে। আপনাকে স্বাধীনতা দেবে নয়, সে নিজেই স্বাধীন মতামতে বিশ্বাস করে। আসলে কী বলুন তো—পুরোপুরি নিঃস্বার্থ বলে কিছুই হয় না। তাই আপনার মতো কাউকে গড়ে নিতে পারবেন এমন আশা ছেড়ে একটা মানুষ সবকিছু মিলিয়ে যেমন যদি তাকে জাস্টিন ট্রুডো কিংবা তিমির কিংবা ঈশ্বর কিংবা রাহুল সুধীর ভাবতে পারেন তো এগিয়ে যান।

    কৃত্তিকা, কলকাতা

    Songi k nie ghor jkhn mey ta k krte hobe tar to sadhinota thakai uchit ata blbr apekha rakhe na. Ha serkm vul sidhyanto nite dekhle ma baba atmiyo ra jukti die bojhatei pare. Kintu atao mine rakhte hobe jeta ekjoner kache vul anyer kache nao hote pare. Kintu jati- dharmo- barno- vasha..
    Agulo kivbe jukti hoy? Ata akkothay mana jay j husband wife er best friend hole samporko sundor hoy. Jkhn amra amni jibone moner bndhu khuji tkhn kintu jati- dharmo- barno- vasha..agulo dekhi na, serkm bndhutyo kintu besh nikhad o thke. R jibon er sbchey gurotyopurno bndhu k khujte gele arkm mapkathi? Ato gelo sadhinota er ktha. Aber ashi khunokhuni etc. Acha apnar mey bie krlo, tar motamot..apnar pochonder na! Valo ktha apnar o bakti sadhinota ache, apni apochonder lok er sthe samporko rakhben na. Mey jamai er thke durtyo maintain korun, sudhu sudhu tader jibon ta hingsatyok trauma te vorie daoa keno?! Apnar mey er o kal jodi apnar pochonder jamai k pochondo na hoy r apnar upor ai hingsatyok aghat ta ane mante parben? Agulo vblei kintu bparta aktu anyorokom hoy! Sobseshe boli ai puro bparta kichu khetre chele er bpareo saje..mey hoeo blbo cheleder o ai jntrona sajhyo krte hoy.

    কৃষ্ণ করিম, পূর্ব বর্ধমান

    "বিয়ে"-'মেয়ের বিয়ে নিয়ে ওদের কোন ইয়ে নেই’। বিয়ে মানেই একটি মেয়ে বা ছেলে নয়,তাদের সঙ্গে তাদের পরিবার; তাদের আচার বিচার তাদের প্রতিবেশী সবকিছুই জড়িয়ে পরে।তাই ভিন ধর্মে বর্ণে বিয়ে মানেই যে সেটি খুন জখম বাধানিষেধ সেটি নয়।এগুলি তখন ক্রিয়েট হয় যখন পাত্র পাত্রী বা তাদের ফ্যামিলির আচার ব্যবহার প্রতিবেশীদের কাছে মিষ্টতা হারিয়ে ফ্যালে।যখন একটা পাত্র বা পাত্রীর বা তাদের পরিবারের স্বভাবে অভ্যেসে তীক্ষ্ণতা না থেকে মিষ্টতা থাকে তাহলে কোন অসুবিধা হয় না পাড়া প্রতিবেশীর।আর বাধা নিষেধ ও আরোপ করে না।সেজন্য খুন জখমের প্রসঙ্গ আসে না। তাই বিয়েতে দই মিষ্টি না দিলেও চলবে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন পাত্রপাত্রীরা যদি সুশ্রী, উপহার, ডিগ্রি, চাকরী দেখে জীবন সঙ্গী বাছেন তাহলে ভবিষ্যতে তাদের মতো পরাধীন আর কেউ হবে না ।সঙ্গী বাছতে গেলে আগে তাদের মনাভ্যাসটিকে বাছতে হবে। তাই স্বাধীনভাবে সঙ্গী বাছতে গেলে আগেই নিজের ভবিষ্যতের জন্য স্বাধীনতা খুঁজে নিতে হবে।
    এটি দু'জনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

    অসিত দাস, মেদিনীপুর

    এই স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অর্থহীন।

    নূর মহম্মদ, বর্ধমান

    দেশের কর্ণধাররা মৌলবাদের পক্ষে এটাই মুস্কিল।

    শোভন সেন

    আঠারো বছরের বয়সী মেয়ে যদি বিয়ে করে তার পছন্দের সঙ্গীকে, তাহলে মেয়ের বাবা-মা দুঃখিত হতেই পারেন, আবেগবশত ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিন্ন করতে পারেন; কিন্তু আইন মোতাবেক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু আধুনিক খাপ পঞ্চায়েত বসেছে সমগ্র ভারত জুড়ে।দণ্ডবতার সহ আইনকেও সেই খাপে পুরে ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। 'লাভ জিহাদ' এর কল্পিত তত্ত্ব মিডিয়ার হাইড্রায় ছড়িয়ে দেওয়া গেছে সমাজে। জনগণমনের ঘৃণার প্রোটোপ্লাজম তাতে পুষ্টি পেয়েছে। তাদের রক্ত ও লসিকা হিংসার সংবহনে গতি দিয়েছে। শাসকের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটব্যাংকে এসেছে তার ডিভিডেন্ট। সাথে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতার উল্লাস; আমার মুরুব্বিয়ানার নিয়মই সমাজ সংসার চলবে, এই তৃপ্তিঢেকুর। মেয়ের আবেগ, ভালোবাসা, পছন্দ, স্বাধীনতা সবকিছু নস্যাৎ করার আদিম প্রবণতা। এন এইচ টেন ফিল্মে দেখানো অনার কিলিং এর বীভৎসতাও বাস্তব। নতুন হলো সেই পৈশাচিক মানসিকতাকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেওয়া, পরোক্ষে বৈধতা দেওয়া। সংখ্যাগরিষ্ঠের যুক্তিহীন ভাবনার খাতে রাষ্ট্র যদি এভাবে তার আইন ও রাষ্ট্রনীতিকে বহতা দেয় তাহলে অচিরেই- 'ছেলেরা চাকরি পাচ্ছে না, মেয়েরা কেন?' এই বর্বর যুক্তিতে শান দিয়ে মেয়েদের চাকরি করাও বন্ধ হতে চলেছে। সনাতনী ঐতিহ্যের ছুতোয় ও 'বেলেল্লাপনার' অভিযোগে নারীর পোশাকের স্বাধীনতা, পশুপ্রেমের অছিলায় আমিষ ভক্ষণ বন্ধ হওয়া তারপরের স্তর। এই হিংস্র প্রবণতার পার্থেনিয়াম গণভোটের স্প্রে দিয়ে এখনো স্তব্ধ করানোর সময় আছে। নয়তো কিছুদিন পরে - এক রাষ্ট্র, এক দল, এক নেতা' 'দেশপ্রেমী' থেসিসে ভোটদানের এনটিথেসিসের সম্ভবনারও বিলোপ ঘটবে।

    মৌমিতা চৌধুরী, কলকাতা

    Ajo Meye ra poradhin i roye gelo ! Tui na meye besi raat obdhi barir baire jawya thik noy 😡 Tui na meye Eta tor dara hobe na 😡 Tui Na meye Faka nirjon jayga diye hete jas na 👎 Ajo meye der akta ghovir nised er berajaler moddhe bondhi kore rakha hyeche meye der 💔 Karon tara Meye 😔 Ai Nised er berajal theke kono din ki mukti pabe Nari ra ???????? Jana nei amr !!!! Sudhu ai tuku bolte pari Amader Somaj i Akhno Sikkhito hye uthte pare ni ! Tai Chele meyer moddhe bivedh Sristi kore👎 Sudhu matro Somaj dayi . Somaj er Odvut Niyam gulo Dayi |

    সাবিনা ইয়াসমিন নিঝুম, কুচবিহার

    পৃথিবীর সব মধুর সম্পর্ক গুলোর মধ্যে প্রেম ভালোবাসা একটি মধুর ও পবিত্র সম্পর্ক।ছেলে কিংবা মেয়ে সবার জীবনে মা বাবা ভাই বোন এর মতো আরো একজনের বিশেষ প্রয়োজন হয় সে হল একজন জীবন সঙ্গী।যার সাথে বাকি জীবন টা সুখে কাটানো যাবে,

    কোনো তরুণ তরুণী যখন কারো মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলে তখন তাকে নিয়ে এক অন্য জগৎ তৈরি হয় এক স্বপ্নের পৃথিবী,তাকে নিয়েই বাঁচতে ইচ্ছে করে। আর এটা মনে হয় যখন জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে বা বয়সে এসে কাউকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে হবে তখন যাকে ভালোবাসি যার মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি তাকে নিয়েই কাটিয়ে দেই।

    ভালোবাসার কোনো জাত ও ধর্ম হয়না,যে যাকে নিয়ে সুখে থাকতে চায় তাকে তার সাথেই থাকতে দিন।ছেলে মেয়ে রা যখন নিজের  মনের মত সঙ্গী খুঁজে নিয়েছেন তখন অন্য কারো বিরোধিতা করার কি দরকার?

    হোকনা সে অন্য জাত অন্য ধর্মের তাতে কি যায় আসে।তারা তো সুখী তাই শুধু শুধু বাধা  হয়ে দাড়িয়ে খুন জখম করে কি লাভ?

    ওদের  কে ওদের মতো বাঁচতে দিন।প্রয়োজনে তাদের পাশে দাড়ান।কোনো মেয়ে চায়না তার পরিবারের সম্মান নষ্ট করতে সে চায় পরিবার তার পছন্দকে গুরুত্ব দিন।যখন পরিবার মেনে নেয়না তখন তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেয়,

    তাই মেয়ে করবে বিয়ে ,ওদের কেনো এত ইয়ে '

    দিন না ওদের কে ওদের মনের মতো করে স্বপ্নের পৃথিবী সাজাতে ,বাঁচতে এক সাথে।।

     
     



    Tags
     


    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

     



    তথ্য নীতি | Privacy policy

 
Website © and ® by Ebong Alap / এবং আলাপ, 2013-24 | PRIVACY POLICY
Web design & development: Pixel Poetics