ভারতে কি মেয়েদের বিয়ের বয়স বদলানোর নতুন আইন দরকার আছে?
0 433সরকার এক টাস্ক ফোর্স তৈরি করার ফলে মেয়েদের ‘বিয়ের বয়স’ আবার এক জাতীয় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কত বয়সে মেয়েদের বিয়ে হওয়া উচিত এই নিয়ে আমাদের দেশে বিতর্কের বয়স ১৪০ পেরিয়েছে। একদম প্রথম দিকের একটি মামলা ছিল ১৮৮৪ সালে মুম্বইয়ে রুখমাবাঈয়ের বিয়ে নিয়ে। ১৮৭৬ সালে ১১ বছর বয়সে রুখমাবাঈয়ের দাদাজি ভিকাজির সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত রুখমাবাঈ তাঁর সৎ বাপ আর মায়ের সঙ্গে ছিলেন, তারপর তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে গিয়ে বাস করতে অসম্মত হন, ফলে ১৮৮৪ সালে এই এখন-বিখ্যাত মামলাটা রুজু হয়।
রুখমাবাঈ সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী ছিলেন না। তিনি ‘হিন্দু লেডি’ নামে দ্য টাইমস-এর সম্পাদককে চিঠি লেখেন এবং রাণির কাছেও আবেদন জানান। শেষ অবধি রাণি ভিক্টোরিয়াকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং বিয়েটাকে বাতিল করতে হয়।
এই মামলার শুনানি শুনে, বিচারক রবার্ট হিল ফিনি ভারতে এর কোনও নজির পান নি আর ‘ব্রিটিশ ল অফ কনসেন্ট’ প্রয়োগ করাতেও অসুবিধা বোধ করেন। তাঁর মত — বিয়ের সময় রুখমা একটি শিশু ছিল; ফলে সে সম্মতি দিতে পারে না — রক্ষণশীল ভারতীয় সমাজের মনের মতো হয়নি। মামলাটা আবার নতুন করে হয়েছিল, এবং ফিনির বিচার উল্টে দেওয়া হয়েছিল।
তবে রুখমাবাঈ সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী ছিলেন না। তিনি ‘হিন্দু লেডি’ নামে দ্য টাইমস-এর সম্পাদককে চিঠি লেখেন এবং রাণির কাছেও আবেদন জানান। শেষ অবধি রাণি ভিক্টোরিয়াকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং বিয়েটাকে বাতিল করতে হয়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সাংস্কৃতিক আর ধর্মীয় পরিধি নির্ণয়ে একটি অন্যতম কষ্টিপাথর হিসেবে এই মামলাটাকে গণ্য করা হয়। রুখমাবাঈ এই বিতর্ককে পেছনে ফেলে ডাক্তারি পড়তে লন্ডন যান, ফিরে এসে বহু বছর উনি গুজরাতে প্র্যাকটিস করেছিলেন।
বহু আইনি বিতর্কের বিষয়
১৮৯১ সালে ‘এজ অফ কনসেন্ট অ্যাক্ট’ প্রচলন হওয়ার পর থেকে ভারতে ‘বিয়ের বয়স’ বহু আইনি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ১৯২৯ সালের ‘চাইল্ড ম্যারেজ রেসট্রেন্ট অ্যাক্ট’, যা ‘সারদা অ্যাক্ট’ নামে বেশি পরিচিত, বিয়ের ন্যূনতম বয়স হিসেবে মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৪ বছর ও ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর নির্দিষ্ট করে। পরবর্তীকালে এই বয়সগুলোর পরিবর্তন করে ১৮ ও ২১ করা হয়। ২০০৬ সালে আইনটা পরিবর্তিত হয়ে ‘প্রহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট’ প্রবর্তিত হয়, বিয়ের বয়সগুলো একই রেখে।
বর্তমান সরকারের কাছ থেকে যে প্রস্তাবটা এসেছে সেটা হল মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ করে দেওয়া। লালকেল্লার পাঁচিলের ওপর থেকে দেওয়া স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা তাঁর অগ্রাধিকার দেওয়া বিষয়গুলোর একটা বলে উল্লেখ করেছেন।
১৯২৭ সালে যখন রায় হরবিলাস সারদা পরবর্তীকালে ওই নামে প্রবর্তিত আইনটার জন্য বিল আনছিলেন, তার আগেই আমার ঠাকুমা আর দিদিমা দু’জনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। এঁরা দু’জনেই ছিলেন কলকাতার বেথুন কলেজের গ্র্যাজুয়েট আর বিয়ের সময় দু’জনেরই বয়স ২১-এর থকে বেশ খানিকটা বেশি ছিল। পরিষ্কারভাবেই বিয়ের বয়স নিয়ে আইনি হস্তক্ষেপের প্রতি ভারতের সাংস্কৃতিক অভিজাত শ্রেণির সামাজিক বিরোধিতা আর ততটা জোরদার ছিল না। ১৯২৮-২৯ সালে আইনের প্রয়োজনে তৈরি করা ‘এজ অফ কনসেন্ট কমিটি’ ১,২০৯ জনের সাক্ষ্য নেন, এঁদের মধ্যে ৭৬১ জনই সম্মতির বয়স বাড়াবার পক্ষে মত দেন।
যদিও উচ্চবর্ণের মারাঠিদের মধ্যে সেই সময় বিয়ের বয়স ১৫-র আশেপাশে ছিল, কিছু গবেষকদের মতে, তখন অন্তত কিছু অংশের মধ্যে মেয়েদের কলেজে পড়ানো আর পড়াশোনা শেষ হলে যখন তারা ‘পুরোপুরি প্রাপ্তবয়স্ক’ বলে মনে করা হত, তারপর বিয়ে দেওয়াটাই সংস্কৃতিগতভাবে কাম্য বলে স্বীকৃত হয়ে উঠেছিল।
মূল যুক্তিগুলো
বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যের সুবিধাটা ১৯ বছর অবধি বয়সের সেই মেয়েদের হবে যাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ২০ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু এই বিপদ সবচেয়ে বেশি ১৫, ১৬ বছর বয়সের মেয়েদের।
মেয়েদের বিয়ের এখনকার নির্দিষ্ট বয়স ১৮ বছরকে বাড়িয়ে দেওয়ার পেছনে মূল যুক্তিগুলো সামাজিক লিঙ্গ বা জেন্ডারের ক্ষেত্রে সাম্য, এবং স্বাস্থ্য ও বৃহত্তর জনসমাজভিত্তিক সমস্যার বিষয়ে সুরাহার কথা তুলে ধরছে। সামাজিক লিঙ্গের ক্ষেত্রে সাম্য ছেলেদের বিয়ের বয়স কমিয়েও আনা যেত, কিন্তু সেই পদক্ষেপটা ঠিক প্রগতিশীল দেখায় না। বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যের সুবিধাটা ১৯ বছর অবধি বয়সের সেই মেয়েদের হবে যাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ২০ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু এই বিপদ সবচেয়ে বেশি ১৫, ১৬ বছর বয়সের মেয়েদের। বলা যেতে পারে যে এ ব্যাপারে ১৯ থেকে ২২ বছর বয়সের মেয়েদের বিপদের মাত্রার পার্থক্য খুবই সামান্য।
আর বৃহত্তর জনসমাজভিত্তিক সমস্যার বিষয়ে সুরাহার পক্ষে জোরদার যুক্তিটা হল যে বিয়ে পিছিয়ে দিলে জন্মদানের বয়স পিছিয়ে যায় আর মেয়েদের গর্ভধারণ কম বার হয় । কোনও এক সময় এই সুবচন হয়তো সত্যি ছিল, কিন্তু আজকের ভারতে খুব সঠিক বিচারবোধের পরিচয় রাখে বলে মনে হয় না। উর্বরতার হার অনেকটাই কমেছে আর অধিকতর ‘প্রগতিশীল’ রাজ্যগুলিতে এই হার ইতিমধ্যেই বর্তমান জনসংখ্যা ধরে রাখারও নীচে।
২০১৫-১৬ সালে বিগত ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের সময় ২০-২৪ বছর বয়সি সব মেয়েদের কেবল এক চতুর্থাংশের ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তার ১০ বছর আগের তুলনায়, যখন সব বিবাহিত মেয়েদের প্রায় অর্ধেকেরই ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, অবস্থার অনেকটাই উন্নতি দেখা গিয়েছিল। এ কথা পরিষ্কার যে গোটা দেশ জুড়েই মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ছে, আর অধিকাংশ বিয়েতেই পাত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি। মেয়েদের অধিকাংশই ১৮ বছরের আগে কেবল যৌন মিলনে অংশ নিয়েছে তাই নয়, অনেকেই ২১ বছর বয়সের আগেই মা হয়েছে। আইন করে বিয়ের বয়স পিছিয়ে দিয়ে তাহলে কী লাভ হবে?
যৌনতায় সম্মতি আর সমাজের ক্রোধের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ১৪০ বছর আগে যখন ব্রিটিশ শাসকরা সম্মতির বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব এনেছিলেন, সমাজের মাথারা ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। আজকের দিনেও সেই এক ক্রোধ বিরাজমান। বহু অঞ্চলে এক বর্ণ বা ধর্মের ভেতরকার না হলে সম্মত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও যৌন সম্পর্কের পরিণাম ‘পরিবারের সম্মান রক্ষায়’ হত্যা পর্যন্তও গড়াতে পারে।
ভারতে সামাজিক প্রত্যাশায় প্রথম যৌন সঙ্গম – বিশেষ করে মেয়েদের জন্য – বিয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। অধিকাংশ মেয়েদের ক্ষেত্রেই বিয়ের পরেই প্রথম যৌন সম্পর্কের আভিজ্ঞতা হয়। ছেলেদের গল্পটা খানিকটা কাছাকাছি কিন্তু পুরোটা এক নয়। ন্যাশনাল বিহেভোরিয়াল সার্ভেইল্যান্স সার্ভে (২০০৬) অনুযায়ী ৫০% তরুণ তরুণীই ১৮ বছর বয়সের আগে যৌন সম্পর্ক করেছিল। তরুণীদের ক্ষেত্রে প্রায় পুরোটাই বিয়ের মধ্যে হলেও, কিছু রাজ্যে ২৫% তরুণের অনিয়মিত যৌনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল। সমাজের প্রত্যাশা যে যৌন সম্পর্ক কেবলমাত্র বিয়ের মধ্যেই হবে। আর এখন যে মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা হচ্ছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে যৌন সম্পর্ক কেবলমাত্র বিয়ের মধ্যেই হবে এই প্রত্যাশাটা মনে রাখা দরকার।
মেয়েদের যৌনতায় সম্মতি দেওয়ার বয়স নিয়ে সমাজের ভারি মাথা ব্যথা। মেয়েদের কিন্তু এই আলোচনায় খুব কমই মতপ্রকাশের সুযোগ মেলে। রুখমাবাঈয়ের সময়ে আশা করা হত, মেয়েরা ১২ বছর বয়সেই যৌনতায় সম্মত হবে। আমার দিদিমা ঠাকুমার বিয়ের কালে এই বয়স বেড়ে ১৪ বছর হয়েছিল। এখন আমাদের রাজনৈতিক নেতারা চান অল্পবয়সি মেয়েরা ২১ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরে যৌনতায় লিপ্ত হোক। ১৮৯১ সালে, ১৯২৯ সালে বা আজকেও মেয়েটা কিন্তু সেই ব্যক্তি নয় যার সম্মতি চাওয়া হয়। বাপ মার সম্মতিই যথেষ্ট মনে করা হয়, আর লক্ষ লক্ষ মেয়ে প্রতি বছর ভেতর থেকে সায় না থাকলেও বিয়েতে সম্মতি দেয়। রুখমাবাঈ বিরল সাহসী এক মহিলা ছিলেন যিনি কেবল তাঁর স্বামী দাদাজির ঘর করতে আপত্তি করেছিলেন তাই নয়, সেদিনের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত খবরের কাগজগুলোর একটার সম্পাদককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আজকের দিনেও এই রকম সাহস দেখানো মহিলারা বিশেষ সমাদৃত নন।
একটি দুশ্চিন্তাজনক আইনি বিধান
তাদের কোনও রকম সামাজিক সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ বা অন্য কোনও রকম সাহায্যের সুযোগ থাকবে না, কারণ বিয়েটা তো হয়েছে বলেই ধরা হবে না।
প্রস্তাবিত আইনটাতে একটা নতুন বিধান (প্রভিশন) থাকার সম্ভাবনা যেটি দুশ্চিন্তাজনক। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আইন ভারতে খুব কমই কঠোরভাবে প্রযুক্ত হয়েছে, কারণ, দুই পক্ষই, অর্থাৎ পাত্র ও পাত্রীর বাপ মা, যারা বিয়ের প্রস্তাব আনে, তারা নিজেদের ইচ্ছায় এই কাজ করে। যে সব বিয়েতে বর বা কনে ‘আইনি’ বয়সের নীচে, সেই বিয়ে সমাজের মাথাদের আশীর্বাদধন্য হয়। ফাঁকটা এইখানেই যে এই তথাকথিত বেআইনি বিয়েগুলো আসলে ‘অসিদ্ধ’ হয় না, নাবালক ও নাবালিকার মধ্যে ‘আইনি’ বিয়ে হিসেবেই টিকে থাকে, যদি না তারা নিজেরা এই বিয়েকে অমান্য করে।
নতুন প্রস্তাব হল এই যে আইনি বয়সের আগে বিয়ে হলে সেটাকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে। ফলে, মেয়েরা বিয়ের মধ্যে যৌনতার অংশ হবে, যে বিয়ের সামাজিক মান্যতা আছে, কিন্তু আইনি স্বীকৃতি নেই। তাদের কোনও রকম সামাজিক সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ বা অন্য কোনও রকম সাহায্যের সুযোগ থাকবে না, কারণ বিয়েটা তো হয়েছে বলেই ধরা হবে না। যে দেশে মেয়েদের যৌনতা পরিবার আর সমাজের সম্মানের বিষয় বলে পরিগণিত হয় আর পাহারায় ঘেরা থাকে, সে দেশে মেয়েদের জন্য এ এক সাংঘাতিক বিপজ্জনক প্রস্তাব।
মেয়েরা যৌনতা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে, আর যারা ঠিক করবে যে তারা থাকবে না, তাদের সামাজিক অসম্মানের ভয় থাকবে, আর তাদের পুরুষ সঙ্গীদের থাকবে ‘ধর্ষক’ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার ভয়।
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার বার জোর দিয়ে বলেছেন যে যৌবনই ভারতের প্রধান সম্পদ। বিবাহ আইনে প্রস্তাবিত বদলটি ভারতে অল্পবয়সিদের মধ্যে সুস্থ যৌনতার বিকাশের জন্য ক্ষতিকর হবে। ইতিমধ্যেই পকসো আইনটা (প্রোটেকশন অফ চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট ২০১২) তরুণদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাকে বিপজ্জনক করে তুলেছে। এই আইন নাবালক নাবালিকাদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে অনুসন্ধানকে আইনের চোখে ধর্ষণ ফলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, এমনকী তারা যদি সম্মতির ভিত্তিতে এগোয় তাহলেও। বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ করা হলে ধরেই নেওয়া হবে যে ১৮ থেকে ২১-এর মেয়েরা যৌনতার দিক থেকে ‘পবিত্র’ থাকবে। মেয়েরা যৌনতা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে, আর যারা ঠিক করবে যে তারা থাকবে না, তাদের সামাজিক অসম্মানের ভয় থাকবে, আর তাদের পুরুষ সঙ্গীদের থাকবে ‘ধর্ষক’ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার ভয়। এই নতুন প্রস্তাবের উদ্দেশ্যের ভেতর যৌবন-বান্ধব কোনও চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।
প্রস্তাবিত আইনটা একটা জোরদার নীতিগত পদক্ষেপে পরিণত হতে পারে বলে মনে হচ্ছে না। উল্টে এটা সমাজে নতুন নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। লিঙ্গ সাম্য, মেয়েদের স্বাস্থ্য, শিশুদের ভালো থাকা বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটাই সেরা রাস্তা নয়।
প্রথম প্রকাশ: দ্য ওয়্যার। ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২০
thewire.in/women/india-new-law-age-at-marriage-women
অনুবাদ: রংগন চক্রবর্তী
Tagsadolescence age of consent age of marriage caa child marriage corona and nursing covid19 Covid impacts on education domestic violence early marriage education during lockdown foremothers gender discrimination gender identity gender in school honour killing human rights intercommunity marriage interfaith marriage lockdown lockdown and economy lockdown and school education lockdown in india lockdown in school lockdown in schools love jihad marriage and legitimacy memoir of a nurse misogyny nrc nurse in bengal nursing nursing and gender discrimination nursing in bengal nursing in india online class online classes during lockdown online education right to choose partner school education during lockdown social taboo toxic masculinity transgender Women womens rights
Leave a Reply