জেন্ডার সহায়িকা : #MeToo
0 99জেন্ডার সহায়িকা । নভেম্বর ২০১৮ ।
এবারের বিভাগ ডিজিটাল খোঁজখবর
স্পটলাইটে #MeToo ক্যাম্পেন। ভারতে যৌন হিংসা ও হেনস্থার প্রতিরোধ ও সচেতনতার নতুন জোয়ার এনেছে #MeToo, সন্দেহ নেই। সমাজের নানা বৃত্তে, নানা পেশায় থাকা মেয়েদের এরকম নির্যাতনের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কখনও মাধ্যম বা তথ্যের অভাব, কখনও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে এই আন্দোলন থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন বহু মানুষ, বহু মেয়েরা - যদিও যৌন নির্যাতন কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রেও একইরকম বাস্তব। তাঁরা কখনও প্রত্যন্ত গ্রাম বা ছোট শহরের মহিলা সাংবাদিক, কখনও ‘ডোমেস্টিক হেল্প’, সাফাই কর্মী বা কারখানায় কাজ করা শ্রমিক, আবার কেউ দলিত, কেউ আদিবাসী, কেউ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। কীভাবে তাঁরাও এই লড়াইয়ে একইভাবে সামিল হতে পারেন বা হচ্ছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য-ঘটনা-খবরাখবর নিয়ে এবারের জেন্ডার সহায়িকা।
ডিজিটাল খোঁজখবর
মর্যাদার জন্য পথে নামছে সারা ভারত
মিছিলের নাম ‘ডিগনিটি মার্চ’ – মর্যাদার মিছিল। #MeToo আন্দোলনকে সারা ভারত জুড়ে গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এগিয়ে এসেছে তিনশ’র বেশি এনজিও। আগামী ডিসেম্বর মাসে এই এনজিও প্রতিনিধি, নির্যাতিতা মেয়েরা এবং অন্যান্য #MeToo সমর্থকরা দু’মাস ব্যাপী একটানা মিছিল করবেন সারা দেশে।
এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, যৌন নির্যাতনের শিকার অসংখ্য মেয়ে বিভিন্ন জেলার গ্রাম, ছোট বড় শহর, মফস্বল থেকে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁদের কাছে; এই মিছিল তাঁদের নির্যাতনের প্রকাশ্য প্রতিরোধে। রাজ্যে রাজ্যে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিভাগগুলির সঙ্গে এইধরনের ঘটনা নিয়ে সরাসরি কথা বলবেন মিছিলে সামিল মানুষ। মুম্বই থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল ভারতের ২৫টি রাজ্যের মোট ২০০ টি জেলা এবং রাজস্থানের উদয়পুর, জয়পুর, আজমীর, চিত্তোরগড়, কিষাণগড় ও ভিলওয়াড়া হয়ে দিল্লীতে শেষ হবে।
উৎস: https://timesofindia.indiatimes.com/city/jaipur/ngos-will-take-metoo-campaign-to-rural-areas/articleshow/66270724.cms?fbclid=IwAR1ksWIGi3h9zmdIhPUHwY0OWR0GwD35GH5cjSlEVnH86HWNwgSpbOH0C5E&from=mdr
গ্রামেগঞ্জে সাংবাদিকতায় #MeToo ক্যাম্পেনের প্রভাব
খুব ধীরে হলেও #MeToo আন্দোলনের প্রভাব পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রাম-ছোট শহর-মফস্বলের গণ্ডীতে। দ্য কুইন্ট কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন খবর লহরিয়া-র দুই মহিলা সাংবাদিক মীরা দেবী এবং কবিতা দেবী। বুন্দেলখন্ড এবং মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের আরও ১৩ টি জেলায় নিয়মিতভাবে প্রকাশিত আঞ্চলিক ভাষার সংবাদপত্র খবর লহরিয়া সম্পূর্ণভাবে একটি মহিলা-পরিচালিত খবরের কাগজ। এই কাগজের সাথে যুক্ত সাংবাদিকরা গ্রামে বা ছোট শহরে মহিলা সাংবাদিকদের প্রতিদিনের নির্যাতন নিয়ে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন গত অক্টোবরে। এই চিঠি প্রকাশের পর রোজকার নিয়মমাফিক যৌন হেনস্থা কিছুটা হলেও কমে গেছে বলে জানালেন তাঁরা। মিডিয়া ও নিউজ গ্রুপের হোয়াটসএপে পর্ন ভিডিও, ছবি বা ব্লু ফিল্ম আসা বন্ধ হয়ে গেছে। মীরা দেবীর কথায়, “আপত্তিকর কিছু করলে মেয়েরা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারে, এটা বুঝেছে ওরা, সেই ভয়ে এখন দূরত্ব বজায় রেখে চলছে।”
উৎস: https://www.thequint.com/news/india/me-too-sexual-harassment-rural-women-khabar-lahariya
ব্যাঙ্গালোরে শ্রমিক মেয়েদের নিয়ে #MeToo জনসভা
শ্রমিক মেয়েদের #MeToo আন্দোলনের অংশ করে তোলার লক্ষ্যে অল ইন্ডিয়া প্রোগ্রেসিভ উইমেনস এসোসিয়েশন (AIPWA) গত ৩ নভেম্বর ব্যাঙ্গালোরে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানের নাম “#MeToo: Working Class Women Share”। এই সভার আয়োজনে AIPWA -এর সাথে ছিল বিবিএমপি গুত্তিগে পৌরকর্মিকার সঙ্ঘ, গারমেণ্ট এন্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইটস ইউনিয়ন এবং কেএসআরটিসি/ বিএমটিসি/ এনইকেআরটিসি/ এনডব্লুকেআরটিসি ওয়ার্কার্স ইউনয়ন। শহরের বহু মহিলা শ্রমিক, বিশেষত কল-কারখানার শ্রমিক, বিভিন্ন পরিবার বা সংস্থায় কর্মরত পরিচারিকারা, পুরসভার অধীনে সাফাই, রাস্তা তৈরি বা অন্য পরিষেবায় যুক্ত মহিলারা এই সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের কাজের পরিসরে যৌন নির্যাতনের লাগাতার ঘটনা তুলে ধরেন সভার সামনে। শুধু তাই নয়, এই নির্যাতনের প্রতিবাদে চাকরি চলে যাওয়া বা বেতন না পাওয়ার মতো বহু ঘটনার মধ্যে দিয়ে শহরে শ্রমিক শ্রেণীর মহিলাদের বাস্তব অবস্থাটা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে শ্রমিক মেয়েদের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার, যৌনকর্মী এবং ছাত্রছাত্রীরাও যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। এই সভার উপরে ভিত্তি করে মহিলা শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করছে AIPWA। রিপোর্টটি কর্ণাটক সরকারের শিশু ও মহিলা উন্নয়ন বিভাগে, ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে-র অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি-র কাছে এবং ব্যাঙ্গালোর মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন –এর বিভাগে পেশ করা হবে।
উৎস: http://1. https://thewire.in/women/metoo-working-class-women-share-their-stories-of-harassment
দীর্ঘ যৌন হেনস্থার অভিযোগ গুজরাটের ২৫ জন হোম গার্ডের
ঘটনাস্থল সুরাট। এবার এগিয়ে এলেন হোম গার্ড বিভাগের ২৫ জন মহিলা কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, বিগত ৫ বছর ধরে স্টেশন অফিসার এবং আরও একজন মহিলা অফিসার তাঁদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে চলেছেন। সুরাট পুলিশ কমিশনারের কাছে এবার লিখিত অভিযোগ জানালেন তাঁরা। দ্য ওয়্যার এর সাংবাদিক রাজা চৌধুরি-র সাথে কথা বললেন অনেকেই। কীভাবে চাকরি এবং পারিশ্রমিকের দায়ে ঊর্ধতন অফিসারদের হাতে দিনের পর দিন তাঁরা নির্যাতন সহ্য করছেন সেই কথাই এবার সরাসরি লিখে জানিয়েছেন তাঁদের অভিযোগপত্রে।
উৎস:http://2. https://thewire.in/women/me-too-movement-police-gujarat
যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মিডিয়া হাউজ
নেটওয়ার্ক অফ উইমেন ইন মিডিয়া, ইন্ডিয়া (NWMI) এবং জেন্ডার এট ওয়ার্ক এর যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে একটি বিশেষ সার্ভে। সারা দেশের মিডিয়া হাউজগুলো যৌন নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বা আদৌ নিচ্ছে কি না সেই বিষয়ে তথ্য জোগাড় করা হবে এই সার্ভের মাধ্যমে। এই সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি ও প্রচারমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে মেয়েদের জন্য যৌন হেনস্থা মুক্ত কর্মক্ষেত্র সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই অনলাইন সার্ভে। এক্ষেত্রে অনলাইনেই সার্ভের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্ন ও নির্দেশাবলী থাকবে। নাম জানিয়ে বা না জানিয়ে যে কেউ নির্যাতনের ধরন, অভিজ্ঞতা বা এই সংক্রান্ত যেকোনও বক্তব্য সাবমিট করতে পারবেন ডিজিটাল মাধ্যমেই।
উৎস: https://www.surveymonkey.com/r/mediahousesshredressalsurvey
Tagsadolescence age of consent age of marriage caa child marriage corona and nursing covid19 Covid impacts on education domestic violence early marriage education during lockdown foremothers gender discrimination gender identity gender in school honour killing human rights intercommunity marriage interfaith marriage lockdown lockdown and economy lockdown and school education lockdown in india lockdown in school lockdown in schools love jihad marriage and legitimacy memoir of a nurse misogyny nrc nurse in bengal nursing nursing and gender discrimination nursing in bengal nursing in india online class online classes during lockdown online education right to choose partner school education during lockdown social taboo toxic masculinity transgender Women womens rights
Leave a Reply