• জামাইষষ্ঠী বনাম বৌমাষষ্ঠী


    7    846

    May 28, 2017

     

     

    বৌমা-শ্বশুর ও জামাই-শাশুড়িদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের উৎসব ইদানিং চালু হয়েছে দোকানে-বাজারে-বিজ্ঞাপনে-মুঠোফোনে। বৌমা-DAY কি জামাইপুজোর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে? নাকি এটা মই দিয়ে নেমে সাপের ল্যাজ ধরে মুখে গিয়ে ওঠার উল্টো খেলা? পড়ুন আমাদের ব্লগাররা কি বলছেন।

     

    জামাইষষ্ঠী খুব ভাল একটা ব্যাপার। টেকো-ভুঁড়ো জামাইরা, যাদের জীবনটা মোটামুটি ইসকিমিক হৃদয়, মধুমেহ, রক্তচাপ, ইত্যাাদি নিতান্তই ঘৃণ্য বাধ্যবাধকতার পরিচর্যা করতে করতে ডিপ্রেশনের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, ভরা গরমে তারা এই একটা দিন বউয়ের কন্ট্রোল কেটে তার সামনেই ড্যাংড্যাং করে চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় গলাধঃকরণ করে শ্বশুরের বিছানায় দিবানিদ্রায় গমন করেন। সদ্যপ্রাপ্ত জামা-প্যান্টের কাপড়গুলো যথারীতি গিন্নির জিম্মায়। তো ষষ্ঠী গেল। এইরকমই সুন্দর গান্ডেপিন্ডে গেলার একটা তিথি দ্বিতীয়া যায় ভাইফোঁটায়। আমি বাঙালির এই দুটো বিশেষ খাদ্যদিবসকে কোনভাবেই ঘাঁটাঘাঁটি করতে রাজি নই। বরং খুব ভাল হয় যদি একটা বৌমা চতুর্থী (অবশ্যই গ্রীষ্মে নয়) আর একটা বোন ফোঁটা উৎসব (ধরা যাক, মাঘী শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায়) এই ক্যালেন্ডারে যোগ করা যায়। বৌমা চতুর্থীর দিন শ্বশুরমশাই বৌমাকে একটা সোনার আংটি বা নাকছাবি বা বৌমার পছন্দমতো অন্য কোনও দামী উপহার দেবেন। আর নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করবেন, পারলে আগে থেকে প্র্যাকটিস করে রান্নাটাও করবেন। শ্বশুরের অনুপস্থিতিতে বা অসুস্থতায় এই কাজের দায়িত্ব তার ছেলে মানে বৌমার বরের ওপর বর্তাবে। আর আধাবেলা সরকারি ছুটি অবশ্য কাম্য।

     

    শাশুড়ির পত্র-
    ডিয়ার বিট্টু,
    আজ রাতের ফ্লাইটে আমায় হেইলসেংকি যেতে হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ হেইলসেংকিতে ইম্পর্টাণ্ট পেপার আছে। রেশমি তোমায় খুব মিস করছে। আমি কানাডা হয়েই ফিরবো। তোমাদের প্রথম জামাইষষ্ঠী কিন্তু খারাপ লাগছে আমরা একজায়গায় থাকতে পারলাম না। তোমার জন্য তাল পাতার পাখা অর্ডার করেছিলাম। বুটিকে আমপাতার ষ্টিচ ওয়ার্ক করিয়ে নিয়েছি। ১০৮টা দূর্বাবাঁধা আঁটি গুরুজিকে দিয়ে কনফার্ম করে নিয়েছি। পুজোর মন্ত্রের রেকর্ডিং রইল এলসিডির পাশে। পুরুতমশাই শুদ্ধ করে দিয়েছেন। ডাইনিং-এ তোমার পছন্দের থাই, চাইনিজ ফুডের হোম ডেলিভারি আসবে। তোমার হাতের হলুদ সুতো বাথটাবের লেফটে শাওয়ার-জেলের পাশে আছে। ডাইনিং টেবিলের ম্যাটের নীচের লিস্ট দেখে পরপর সব কাজ সেরে নেবে। আমার জন্য যে শাড়ীটা এনেছ পারলে একবার আ্যাপে সেন্ড করো। আমার ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় খুব থার্স্টি ফিল করছি হয়ত ফাস্ট রাখতে পারবো না কাল। গুরুজিকে জানিয়েছি। জামাইষষ্ঠী খুব রেলিভ্যাণ্ট ফেষ্টিভ্যাল আমাদের মত বাঙালির জীবনে। কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম। অ্যাকর্ডিং টু দ্যাট তুমি স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করবে। ডোণ্ট মিস এনিথিং।
    ইতি
    মা

     

    এবছর জামাইষষ্ঠীর নতুন নামকরণ হয়েছে ‘জামাইপুজো’। কলকাতার একটা নামী মল থেকে এসএমএস পেলুম যে, অমুক তারিখ পর্যন্ত ‘জামাইপুজো’-র দরুন কেনাকাটায় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। কে জানে হয়তো বা আশু ভবিষ্যতে পাড়ায় পাড়ায় জামাইদের প্যান্ডেলে বসিয়ে সর্বজনীন সচন্দন পুষ্পেষু-ও চালু হবে। তবে কিনা জামাইরা যেহেতু রক্তমাংসের দেবতা, সেহেতু এদের শুধু ফুল-চন্দনে তুষ্ঠ করা যাবে না। রীতিমতো চিংড়ি, পাঁঠা, ইলিশ, মন্ডা-মিঠাই চাই। হাল ফ্যাশনের জামাই হ’লে প্যান্ডেলে মেনল্যান্ড চায়না-র প্রসাদ চাই। তা এ পুজোর মন্ত্র কি হবে?মন্ত্রের নমুনা এইরকম---
    আমার কন্যা যেন থাকে দুধে ভাতে
    দু’ঘা যেন কষিও না, তাকে মাঝরাতে
    দয়া করো, দেখিও না ঐ রক্তচোখ
    কন্যা যেন অকারণে নাহি পায় শোক।
    টাকা তার পুরোটাই কোরো না হরণ
    কিছু তারে দিও, ধরি তোমার চরণ।
    সংসারে খাটিও না তাকে আমরণ
    ঘুষ তুমি পেয়ে যাবে যথা প্রয়োজন।।
    এই মন্ত্রোচ্চারণ ক’রে জামাইকে সাষ্টাঙ্গে পেন্নাম ঠুকে বলতে হবে, জয় জামাই-ঠাকুরের জয়! উপঢৌকন মনোমত হ’লে হাতেনাতে ফল পাবে। দেবতা সদা-জাগ্রত কিনা!

     

    উৎসব অনুষ্ঠানে পিতৃতান্ত্রিক নির্মাণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জামাই- DAY র বদলে যারা বউমা-DAY চালু করতে চান, তাঁরা অবশ্যই স্টেডি ক্রেতা। জামাই -DAY কাদের উৎসব? বিশেষ বাবু শ্রেণির, বিশেষ সম্প্রদায়ের। উৎসবের দিনে দশগুণ দাম দিয়ে বাজার সারতে পারেন এঁরা। বাইরে খেতে পারেন। বউমা-ষষ্ঠীর কথা ভাবতে পারেন নি হেটোমেঠো মেয়ে বউমারা। জামাই আদর নিয়ে গনগনে রাগ উগলেছেন নিজেদের ভাষায়--"খাও জামাই খাও/গ্যার ঝাড়া ধানের ভাত চোদ্দনখুড়ের পাত/বাল ঝাড়া জাল মাছ"।জামাই আদর একটি বাধ্যতামূলক সামাজিক রীতি। সেই রীতি মানতে গিয়ে, খেটে খাওয়া মানুষের জান কয়লা। পাছার কাপড় খুলে,চোদ্দপুরুষের জমিতে অনেক কষ্টে ভাতের জোগাড়, মাছের জোগাড় -এই রকম ইঙ্গিত পদটিতে। এই মেনুকার্ড বউমা-DAY তে চলবে?

     

     

    মাতৃ-দিবস, নারী-দিবস উপলক্ষ্যে হাজার হাজার গয়নার দোকানে লক্ষ-লক্ষ টাকার ডিস্‌কাউন্ট দেওয়া হল, ‘তুমি অনন্যা’ বয়ানে সাত-কিলো ওজনের বেনারসি এবং সম-পরিমাণে অলংকৃত নারীর বিজ্ঞাপনে চোখ-ধাঁধিয়ে যেতে লাগল সপ্তাহ-জুড়ে। এবং লেটেস্ট অ্যাডিশান বউমা ষষ্ঠী। অর্থাৎ, ফেসবুকে ‘শাশুড়ি বেস্ট-ফ্রেণ্ড’ এবং ‘#বং-কুইসিন’ ক্যাপ্‌শান-সহ সেল্‌ফি! চব্বিশ ঘন্টা পর সেই বউমাই বাথরুমে লুকিয়ে কাঁদছে কিনা, কি কাপড়ের তলায় ছ্যাঁকার দাগ লুকোচ্ছে কিনা, ফেসবুকে সে সব খবরের প্রবেশ নিষেধ।

    জামাই কিন্তু ঘরের ছেলে হয়েই আসে। তাকে ভালবাসবার জন্য মেয়ের পরিবার যত উদগ্রীব, ছেলের পরিবার কি বউমাকে ততটাই আগাম ভালবাসা আগে থেকে দিতে পারেন? বছরে একটা দিন চক্ষু-লজ্জার খাতিরে বউমা-ষষ্ঠী পালন না করে, রোজই হোক না বউমা-দিবস?

     

    জামাইষষ্ঠীর কোনও ব্যক্তিগত স্মৃতি বা অভিজ্ঞতা আমার নেই। মায়ের যখন এগারো বছর বয়স, দিদা মারা যায়। মায়ের জেঠিমা প্রথম কয়েক বছর ওইসব পালন করেছিলেন বোধহয়, কিন্তু আমি বা দিদি কেউই কখনও জামাইষষ্ঠীর দিন মামার বাড়ি গেছি বলে মনে পড়ে না। যাইওনি বোধহয়।

    তবে আমার মায়ের জামাইষষ্ঠী নিয়ে একটা স্মৃতি আছে, যা একাধিকবার শুনেছি আমরা। আমার জাঠতুতো দিদির গল্প। দিদির বিয়ে হয় মা-বাবার বিয়ের মাস ছয়েক আগে। জামাইবাবু ডাক্তার, শ্বশুরমশাই সংস্কৃতের নামজাদা পণ্ডিত, সব মিলিয়ে অভিজাত বংশ। আমার জেঠুও রেলের বড় অফিসার। বিয়ের পর, জামাইবাবুর সাথে দিদি জামশেদপুর চলে যায়।

    মায়ের বিয়ের মাস চারেক পর দিদি আগুনে পুড়ে মারা যায়। কারোর কোনও সাজা হয়নি।

    এই গল্পটা মা মাঝেমধ্যেই বলে। মারা যাওয়ার দিন দশেক আগে মা দেখেছিল দিদিকে। চোখের নীচে কালি, থমথমে মুখ। কোনও কথা না বলে বাপের বাড়ি এসে রান্নার কাজ করে যাচ্ছে জেঠিমার সাথে। জামাইষষ্ঠী ছিল সেদিন।  

     

    মায়ের মুখে শুনেছি, বিয়ের পর প্রথম শ্বশুরবাড়িতে মায়ের দুপুরবেলার খাওয়ার পাতে একটা বড় মাছের ল্যাজা খেতে দেওয়া হয়েছিল, আর বাবাকে মুড়োটা। তেমনটাই নাকি নিয়ম ছিল, বউয়ের পাতে মুড়ো দিলে মহা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে যাবে, সেও কী হয়? মায়ের এই দুঃখের কারণেই বোধ হয় মা ঢেলে মুড়ো খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল আমায়। তা এই অবস্থায় তিনি যে বউমা ষষ্ঠীর কথা শুনে আনন্দ পাবেন এতে আর বিচিত্র কী? কিন্তু দেখলাম তা হল না, জামাই আদরের পিছনে তীব্র পিতৃতান্ত্রিক অজুহাতের কথা অস্বীকার না করেও তিনি জানালেন, যুগটা বড় অন্যরকম ছিল, জামাইরা সেই যে বিয়ের পর সেই যে মুখ ফেরাত, আর বড় একটা এবাড়ির দিকে ঘেঁষত না। যাতে সে বিপদ আপদের দিনে পাশে থাকে তাই খানিক জোর করেই হয়ত এই বিশাল আয়োজন করে সামাজিকভাবে নিমন্ত্রণ জানিয়ে খাতির করা হত। তাতেও অবশ্য পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার প্রতি নিবেদনই প্রকাশ পায়। কিন্তু দিনদিন যা বাজারমূল্য, তারপর জামাই হোক বা বউমা, ষষ্ঠীর আয়োজনটাই অত্যাচার হয়ে দাঁড়ায়। তার থেকে বরং দৈনন্দিন খাবার পাতে মেয়েদের পাতেও মুড়োটা, দুধটা রোজ পড়ল কিনা শ্বাশুড়িরাই তার খবর রাখুন, বয়েসের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের হাঁটু আর কোমরের হাড়ের যন্ত্রণা যেন উত্তরাধিকার স্বরূপ বউমাদের দান না করেন তেমন একটা ব্যবস্থা তো করাই যেতে পারে। দায়টা একদিনের ষষ্ঠীর নয়, তিনশো পঁয়ষষ্ঠীর হোক!

     

    খটকাটা লাগলো জামাইষষ্ঠীর ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে।একে অরণ্য-ষষ্ঠী বলা হত।কেন?ইতিহাস বলছে-সনাতন ধর্মাবলম্বী মতে এই পার্বণ  জৈষ্ঠ্যের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠদিনে মূলতঃ পরিবেশ রক্ষার্থে গাছকে দেবতা বিশ্বাসে,বিবিধ প্রকার ফলজ,বনজ ও ওষধি গাছের ডাল একত্র করে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় স্নান দিয়ে পুজো করা।দূর্বাঘাস জলে ডুবিয়ে যথাক্রমে জামাই,শিশু ও বাকি বাড়ির বড়দের শরীরে ছোঁয়ানো ও জলে ডোবানো পাখা দিয়ে বাতাস করা ও মঙ্গল-মন্ত্রোচ্চারণ ও পরিশেষে দূর্বা, পুঁটানীর চাল ও গামলায় ডোবানো মৌসুমী ফল হাতে দিয়ে প্রাথমিক ষষ্ঠীর ইতি টানা হত।আম কাঁঠাল লিচুর সুবাসে জামাই-ষষ্ঠীর ব্রতটি ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে প্রভাব ফেলতো গ্রামীণ সাধারণের জনজীবনে।ওপার বাংলার বারোমাসি গানে এর উল্লেখ আছে।

    জামাই-ষষ্ঠীর উপাচারগুলি অঞ্চল-ভেদে ছিল ভিন্ন।পার্বণটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও বাংলার মুসলমান ধর্মসম্প্রদায়ের মধ্যেও এই জৈষ্ঠ্য মাসে জামাইকে ডেকে আম-দুধ খাওয়ানোর প্রচলন ছিল।জামাইরাও আসতেন শাশুড়ির জন্য কাপড় আর বাড়ির ছোটদের কথা ভেবে দই,মিষ্টি,ও অন্যান্য লোভনীয় সওগাত হাতে করে।এপাড়া,ওপাড়ার ছেলে বুড়ো মেয়ে-বৌ সবাই আকন্ঠ আনন্দ করত।এই তো ছিল জামাই-ষষ্ঠী।গ্রামীণ মানুষের জীবনে সার্বজনীন একটি প্রকৃতি-পন্থী,পরিবেশ-বান্ধব উৎসবের দলিল।

    মা ষষ্ঠী শিশু-কল্যাণ দপ্তরের একচেটিয়া ভারপ্রাপ্ত হওয়াতে এই কয়েক দশক আগে পর্যন্তও মোটামুটি সচ্ছল মধ্যবিত্ত বাঙালী পরিবারগুলিতে জামাইষষ্ঠী ছিল তেল-হলুদে চোবানো বাড়ির ছোট-বড় সবার কব্জিতে বেঁধে দেবার সুতো,ফল-মিষ্টি,দই, আর বড় জোর দই-পোনা বা বহু বাসনার কুকারে সিটি মারা মাংসের ঝোল-ভাতের দুপুর।আর জামাই নাম সার্থক করার (বা শ্বশুরবাড়ি মাত করার) তো একটাই সোনায় সোহাগা সুযোগ---মফস্বলে বা গ্রাম থেকে সেখানে গরবিনী বৌ ও শ্যালিকা পরিবৃত হয়ে এসে  ইভিনিং শো-এ একখানা বাংলা (ক্রমে হিন্দী) বই দেখা।  

    চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগেও মেয়েকে বাড়ি আনবার জন্য জামাই-ষষ্ঠী হয়ত একটা ছুতো ছিল।আজ তো নিউক্লিয়ার পরিবারের নিরিখে ওটারও প্রাসঙ্গিকতা নেই। আজ এই সর্বস্ব গিলে খাওয়া বাজার-অর্থনীতির যুগে জামাই-ষষ্ঠী একটা ইভেন্ট মাত্র যেটাকে উপভোগ করার(feel good) একমাত্র উপায় বাজারের হাতে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া।আর বাজারেরও পোয়া বারো।সে বাঙালিয়ানার মোড়কে খোদ সংস্কৃতিটাকেই একটা পণ্য করে ফেলেছে। বাজারের আবার ফ্যাচাং আছে।একই মোড়ক তো বেশীদিন বেচা যাবেনা।তাই একই পণ্য আবার নতুন মোড়কে---বৌমা ষষ্ঠী!! সাপ-লুডো উল্টো করে খেলতে বসা আর কি! মই দিয়ে নামবো আর সাপের ল্যাজ ধরে মুখে গিয়ে উঠব-খেলাটা তো আখেরে একই থেকে গেল।

     

     
     



    Tags
     



    Comments (7)
    • সব লেখাগুলো ভালো লাগলো।
      লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমার ছোটবেলাকার এই দিনটা মনে পড়ে গেল।
      মা বরাবর এই দিনে আমাদের দুই বোনের মঙ্গল কামনায় ষষ্ঠী পুজো করতেন, মনে আছে এই দিন মা অফিস ছুটি নিতেন, নতুন জামা পরিয়ে আমাদের নিয়ে ষষ্ঠীতলায় গিয়ে পুজো দিয়ে তালপাতার পাখার হাওয়া দিয়ে হাতে হলুদ সুতো বেঁধে দিতেন।বাড়ি ফিরে মা ষষ্ঠীর পাঁচালি পড়ে সাবু ভেজানো মাখতেন আম কলা আর সন্দেশ দিয়ে আর আমরা দুই বোনে মহানন্দে খেতাম। এই দিনে বাবা বাজার থেকে বছরের প্রথম লিচু কিনে আনতেন।
      মা ষষ্ঠী পাঁচালির গল্প প্রতি বছর শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল, তাতে জামাইকে নিয়ে আড়ম্বরের কথা কোথাও ছিল না ।

    • Jamai sasti bonam bouma sasti lekha gulo pore khub bhalo laglo.Tripti Santra abong Jinat Rehena Islam onader lekha asadharan legeche. Sabai ke suvecha agiye Jan.

    • ষষ্ঠী স্মরনে কর্মনিষ্ঠ সকল বৌ মা ও উড বি শ্বাশুমা গন দের সেলাম।হলুদ সুতো অমর রহে!!

    • সব কটা লেখাই দারুণ।
      তবে শ্লেষ পেরিয়ে শেষ লেখায় অনেক কিছু পেলাম। ভাবনার উপাদান।

      বছরে একবার মেয়েকে, নাতি নাতনিদের দেখার, নতুন ফলমূল খাওয়ানোর, নতুন কাপড় দেওয়ার ছুতো হিসেবে দেখলে অত খারাপ লাগে না আর। বেশ মায়া মায়া ভাব হয়। এসব ছুতো না থাকলে ত সারা বছরের মধ্যে একটি বারও জামাই মেয়েকে নিয়ে না আসতে রাজি হতে পারে।

    • marketing the event jamai shasti is nicely been expressed with the history. but now it is another popular comodity to market……amazing !

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

     



    তথ্য নীতি | Privacy policy

 
Website © and ® by Ebong Alap / এবং আলাপ, 2013-24 | PRIVACY POLICY
Web design & development: Pixel Poetics