অব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া?!
0 310‘বুবাই, আজ থেকে তোর দুটো বাবা, মা আর নেই’ – প্রায় ১৮ আমি, মানে বুবাই নামক না-বালিকা, আর প্রায় ৪৪ মা, মানে শ্রীমতী বীথি—আমাদের দ্যাখা হল পার্ক সার্কাসের এক আটপৌরে ও ঘুপচি নার্সিং হোমের ঘরে; মায়ের সদ্য জ্ঞান ফিরেছে হিস্টেরেক্টমির পর।
প্রায় ১৮ তে বাবা কাকে বলে আর কাকে বলে মা তার একটা সোজাসাপটা হিসেব ছিল, আর মায়ের আরোগ্যশয্যার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও দুটো বাবা শুনে ফিক করে একটু হাসি ঠোঁট থেকে ছিটকেও পড়েছিল—ডেঁপোমি লগ্নে জন্ম আমার!
শ্রীমতী বীথি কিন্তু গভীর বিশ্বাস থেকেই কথাটা বলেছিলেন, জরায়ু থেকে মাসিক রক্তপাত না হলে, বা জরায়ুটাই না থাকলে কি আর নারী পদবাচ্য হওয়া যায়? এবং নারীপদ ও মাতৃপদ এক ও অবিচ্ছিন্ন, অতএব বুবাই কিছু পরে দুই বগলে দুই বাবা নিয়ে নার্সিং হোম থেকে বাড়ি ফিরেছিল।
আমার রজোদর্শন হয়েছিল ন’বছরে; কচিবেলায় পেকে যাওয়া ফলকে চলতি বাংলায় বলে দড়কচা মেরে যাওয়া, আমার জীবনও অমনি দড়কচা মেরেই কেটেছে সেই তবে থেকেই। প্রথমে না বোঝা, তারপর ভয়, খানিকটা উল্লাশ, শেষে বিরক্তি, হতাশা, অসহায়তা—রজঃস্রাব নিয়ে মেয়েরা এইভাবেই কথা বলে, যা আছে বলে অসহ্য, কিন্তু না থাকাটাও মুশকিল।
একটু খুলে দেখি শ্রীমতী বীথি ও আজকের বাদবাকি শ্রীমতী/মানরা কি ভাবছেন—মেয়েমানুষের শরীর মানে যোনি-জরায়ু-ডিম্বকোষ এই তো, মানে পাতি বাংলায় রিপ্রোডাকশন, যার আছে সে মেয়ে মানে মা, যার নেই সে হয়ত ঠিক বাবা নয়, কিন্তু অ-নারী বটে। সিস-জনতা, অর্থাৎ জন্মসূত্রে পাওয়া লিঙ্গচিহ্নের ওপর ভিত্তি করে সমাজ নারী/পুরুষ হিসাবে জেন্ডার আইডেন্টিটির যে ছাপ্পা পিঠের ওপর মেরে দেয় তা মানতে যাঁদের ভিতরে কোনও দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয় না, এমন জনতার জন্য অ-নারীত্ব একটা ভয়ানক ভাবনা। যেমন অ-পুরুষত্ব; ‘হিজড়া’ শব্দটা গালি হয়ে গেল সেই ভাবনা থেকে, কিন্তু ‘হিজড়ি’ বলে কিছু তৈরি হল না কারণ নারীত্বহীনতা যদি রজোনিবৃত্তি বা মেনোপজ দিয়ে বুঝতে হয় তবে সেটা ঘর ঘর কি কাহানি, কে কাকে গালি দেবে?!
অথচ শরীর জানে কোনো একসময় কীভাবে ফুল ফোটে, আবার কখনো ফুল ফোটার পালা সাঙ্গও হয় নিজস্ব নিয়মে – না তার মধ্যে না আছে বৈশিষ্ট, না বিস্ময়। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের নানাবিধ যন্ত্র নানাবিধ কাজ করতে পারে, কিছুটা আমরা কাজে লাগাতে পারি, লাগাই; আবার নানা সম্ভাবনা কাজে লাগেও না, আমরা সে পর্যন্ত শরীরকে নিয়ে যাবার কথা ভাবতেও পারি না। যোনি-জরায়ু-ডিম্বকোষ তেমনি একটা অ-বিশেষ সমাবেশ, যা কাজে লাগানো যায়, কখনো কখনো লাগানো হয়, একসময় তাদের কাজ ফুরায়, আবার কখনো বা তাদের কাজে লাগাতেই চায় না দেহের মালিক। সবই সম্ভব।
সম্ভব তো বটেই, কিন্তু সহজ কি? আমার ন’বছরের অভিজ্ঞতা বলে শুরুটা খুব খারাপ ছিল আর শ্রীমতী বীথির চুয়াল্লিশের অভিজ্ঞতা বলে শেষটা আরও খারাপ হল। শুরু মানে তবু একটা সম্ভাবনা, ন্যাকড়া জড়ানো আঁশটে রক্তের গন্ধের মধ্যে দিয়ে সেই সম্ভাবনা প্রতিমাসে ফুটে ওঠে কিশোরীর স্কুল ড্রেসের পিছনে; ব্যথায় নীল হয়ে যাওয়া ঠোঁটের ওপর বাস করে সেই সম্ভাবনা; ঠাকুর না ছোঁয়া, খেলতে না যাওয়া, ছেলেদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, এমনকি বাবা-দাদাকেও হাল্কা সন্দেহের চোখে দেখতে দেখতে মেয়েশিশু থেকে আমরা মেয়েমানুষ হয়ে উঠি, আরও আরও পুরুষমানুষ ও মেয়েমানুষের জন্ম দেব বলে, যাতে উৎপাদন ও পুনরুৎপাদনের চাকা নিখুঁত গড়িয়ে চলে যায় মন্বান্তরে।
মেনোপজ মানে সব সম্ভাবনার শেষ, এ জন্মের মত আর হয়ে গেছে যা হবার। শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে পারব এবার থেকে এটুকুই যা প্রাপ্তি, বাকি সব অন্ধকার বা ডিভিডেন্ড ভাঙিয়ে খাওয়া। তা জৈবিক রজোনিবৃত্তিই হোক—যেখানে শরীর বলে দিল সেই নার্সারি থেকে শুরু, পারছি না আর গুরু—কিম্বা জরায়ুজনিত কোনও গোলযোগে কর্মীদল থেকে বাদ পড়ে যাওয়াই হোক, দিনের শেষে পড়ে থাকে সেই উৎপাদনক্ষমতাহীনতা।
মেনোপজ বললে যে ছবিটা মনের পর্দায় সচরাচর ভেসে ওঠে তা আবারও ওই মা-কাকিমাদের ফিসফাস—কোনও এক অপছন্দের নারীর আকুল সাজগোজ প্রসঙ্গে মাদের দলের কেউ বলেছিলেন—উটে গেচে (উঠে গেছে)—সঙ্গে হাতের একধরনের বিন্যাস—সব মিলিয়ে সেই বালিকাবেলায় মনে হয়েছিল যেন ইনি জোর করে এমন একটা ঘরে ঢুকতে চাইছেন যেখান থেকে তাঁর বাস উঠে গেছে। ঘরের দখলে আছে যারা তারা স্তম্ভিত তাচ্ছিল্যে এই বেমানান সাজুনির হতাশ চেষ্টা সম্পর্কে তাচ্ছিল্যব্যঞ্জক মন্তব্য করছে তাই। অন্যদিকে এ ছবিও আছে যেখানে ‘উটে যাওয়া’ অ্যাকচুয়ালি সেলেব্রেটেড হচ্ছে—আর মাসে মাসে ন্যাকড়া কাচতে হবে না বাবা, এবার থেকে শোবার জায়গা আলাদা করে নেওয়া যাবে, ইত্যাদি।
অর্থাৎ যৌনতা; হয় সোজা রাস্তায় নয় বাঁকাচোরা পথে, ঝাঁকুনি দিয়ে যায় আবারও। মেনোপজ = অক্ষমতা = জীর্ণতা = বার্ধক্য = শেষ—এই পুরো ইক্যুএশন দাঁড়িয়ে আছে যৌনতা + প্রজননের ওপর। শুধু প্রজনন নয় কিন্তু, কারণ প্রজননক্ষমতা থাকাটা যত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ভারতীয় পরিস্থিতিতে, সন্তানসংখ্যার গুরুত্ব সেইভাবে নেই আর। সভ্যতার চতুর্থ সন্তানকে আর চাই না আমরা, কিন্তু উৎপাদন/প্রজনন ক্ষমতাটা চাই, যার সঙ্গে যৌনতা/ক্ষমতা জড়িয়ে আছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। আর নারীর যৌন ক্ষমতা মানে তো আর বিদ্ধ ও নিষিক্ত করা নয়, আকর্ষণ করা; কামনার পাত্র হয়ে ওঠার মধ্যেই তার ক্ষমতা নিহিত থাকে। তার নিজস্ব কামবোধ, উত্তেজনা, উল্লাশ সবই পড়ে থাকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে, কারণ সেকেন্ড সেক্স তো, যত কম গুরুত্ব দেওয়া যায় ততই ভালো। সুতরাং মেনোপজ হল সেই অমোঘ মুহূর্ত যা জৈবিক কারণেই হোক আর ছুরি চালিয়েই হোক, এমন একটা কিছু ঘটিয়ে ফেলছে এই নারীদেহটার মধ্যে যার ফলে তার মোহিনী আকর্ষণ শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এবং উৎপাদনক্ষমতাও চলে যাচ্ছে। আর এগুলোই যদি না থাকে তবে নারী তার নিজের মধ্যে কামবোধ করছে কিনা, অন্য কারো সঙ্গে উপগত হতে চাইছে কিনা, নিজের সঙ্গেই লিপ্ত হয়ে উপভোগ করছে কিনা, সেসবকিছুই অবান্তর হয়ে যায়।
অবান্তর হয়ে যায় কি? ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’ ছবিটি মনে পড়ছে এই প্রসঙ্গে, বার্ধক্য (রজোনিবৃত্তি সোচ্চারে নেই বটে, তবে আছেও সম্ভবত)ও কামনা এই দুইয়ের চমৎকার বুনোট দেখেছি আমরা এই ছবিতে। কে চায়, কী চায়, কাকে চায়, কখন চায়, এসব কিছুই আসলে এতো অরগ্যানিকালি ঘটে চলে যে তা নিয়ে অন্য কারো কিছু বলার থাকবে কেন, সব থেকে বড়ো ধাঁধা বোধহয় এইটাই! অথচ নিরন্তর বলে চলে মানুষ, নিরন্তর বলে চলেছি আমরা অন্যের জীবন নিয়ে, বিশেষত যৌনজীবন নিয়ে—কার সাথে কার হবে, কীভাবে কার হবে, কখন কার হবে, এবং কোন সময়ের পরে কার আর কিছুই হবে না। আমরা নিজেরাই এসব নিয়ম বানাই, নিজেরাই এই নিয়মের পাঁচালি প্রতি বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার ভক্তিভরে পড়ি, আর বলতে-বলতে করতে-করতে ভুলে যাই ওটা আমারই বানানো ছিল, আমিই দেবতার জন্ম দিয়েছিলাম, আমার নুড়ি পাথর আজ আমাকেই ধমকে-চমকে একাক্কার করছে। বয়সের সঙ্গে ও রজোনিবৃত্তির সঙ্গে কামনার সম্পর্ক ঠিক কোথায় তা আমরা কেউই জানি না, তবু একটা মিথ আঁকড়ে ধরে চলি যে ওই হরমোনের ব্যাপার তো আসলে, ‘উটে যাওয়া’ মানে হরমোনের উঠে যাওয়া, তার আসন ছেড়ে চলে যাওয়া, ফলে শরীরও বেতালা আর মনও বেতালা, এরমধ্যে কামনার কথা আর এই বয়সে না বলাই ভালো, বরং একদান লুডো খেলি নাড়ুগোপালের সাথে।
শরীর ও মনের সঙ্গে এবং হয়ত বা কামনার সঙ্গেও হরমোনের যোগ থাকতেই পারে এবং মেনোপজও সেই তারে বাঁধা থাকতে পারে, যা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে বা একটা নির্দিষ্ট ডাক্তারি হস্তক্ষেপের পরে সমস্যা তৈরি করতেও পারে। অথচ বয়স হলে আমরা বাতের ব্যথার চিকিৎসা করাই, চোখের ছানি কাটাই, দাঁতের গোড়া কনকন করলে তুলে ফেলে বাঁধানো দাঁত পরি। মনের জন্য লাফিং ক্লাবের মেম্বার হই, বেড়াতে যাই পাহাড়ে, জঙ্গলে কি সমুদ্রে। বাহ, এই তো, মন আর শরীর দুয়েরই ঝুঁটি ধরে ফেলেছি, আর কি চাই তবে? কামনা বা যৌনতা নিয়ে তো নিজেই ভাবতে চাই না তাই নিজেই নিজেকে বোঝাই, লুব্রিকেশন কমে গেলে সেক্স করতে ব্যথা লাগবে তো, আরও ঢের কাজ আছে বাপু জীবনে, এবার সেইসবই করি না কেন!
এ যুক্তিতে অসুবিধা নেই যদি লুব্রিকেশনকে বাঁধানো দাঁতের মতোই সহজে গ্রহণ করতে পারতাম, কিন্তু আসলে পারি না, ওখানে নীতি এসে পড়ে। তাই কে কোন সময় অবধি কাকে ও কীভাবে কামনা করবে তা লুব্রিকেশনের ওপর নির্দিষ্ট করি না; রজোনিবৃত্তিকে আমরা নীতি ও ঔচিত্য দিয়ে বুঝি, বুড়ি মানুষের কামনা থাকা অনৈতিক ও অনুচিত, ব্যাস। আমার ‘উটে’ যাবার পর কাম পাচ্ছে না কাজেই আমি ওটা নিয়ে ভাবতে চাইছি না, আর আমার কাম পাওয়ার কথাই নয়, ভাবার কথাই নয়—এই দুটি অবস্থান ভিন্ন। দ্বিতীয় অবস্থানের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকে নীতিপুলিশ যে বলে যেসব বুড়ির রজোনিবৃত্তির পরেও কাম পায় তারা বিকৃত, পাপী, সমাজের জঞ্জাল তারা, দূর কর, মেরে ফাটিয়ে দাও—লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা, আবারও।
আর একটা কথাও এই সূত্রে না বলে পারছি না, রজোদর্শন আর রজোনিবৃত্তি নিয়ে এতো চচ্চড়ি রাঁধছি কিন্তু নারীত্ব বিষয়টাকে একটা অখণ্ড বস্তু বলে ধরে নিয়ে, যা আসলে মতেই তত অখণ্ড নয়। শ্রীমতী বীথি বেঁচে থাকলে তাঁর সঙ্গে এই মনোগ্রাহী আলোচনাটি করা যেত যে কে কীভাবে মা থেকে বাবা (এবং বাবা থেকে মা)হয়ে যায় ও কেন। সিসজনতার পাশাপাশি ট্রান্সমানুষ নিয়েও খানিকটা ভাবনা খরচ করতেই হয় যদি নারীত্বকে(এবং পুরুষত্বকেও)কিছুটা তির্যক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখব বলে ভাবি। নারী বলতে প্রথমেই যে যোনি-জরায়ু-ডিম্বকোষের অমোঘ কম্বিনেশনের কথা উঠেছিল, মনে রাখতেই হবে কিছু মানুষ তা থাকা সত্ত্বেও নারী হতে নাও চাইতে পারেন; তাঁরা ‘জন্মসুত্রে নারী বলে দাগিয়ে দেওয়া’ শারীরিক অবস্থান থেকে বেরিয়ে পুরুষ বা অ-নারী হতে চাইতে পারেন, চাইছেন, সেই জন্মসূত্রে প্রাপ্ত শরীরকে কেটেকুটে বাদ দিয়ে বা জাস্ট পাত্তা না দিয়ে। অন্যদিকে একদল ‘জন্মসুত্রে পুরুষ বলে দাগিয়ে দেওয়া’ মানুষ চাইছেন নারী বা অ-পুরুষ হতে, আবারও কিছু কেটেকুটে বা জুড়ে বা পাত্তা না দিয়ে। সব মিলিয়ে অমোঘ যোনি-জরায়ু-ডিম্বকোষ কম্বিনেশনের চোদ্দটা বেজে যাচ্ছে এর ফলে, যোনি বা শিশ্ন যদিও বা তৈরি হচ্ছে এই শরীরগুলিতে, জরায়ু-ডিম্বকোষ বাদ চলে যাচ্ছে নারী চিহ্নিত শরীর থেকে, আর পুরুষ চিহ্নিত শরীর জরায়ু-ডিম্বকোষ ছাড়াই দিব্বি নারী হয়ে উঠছেন। মাসিক রজঃস্রাবটাই যদি আর নারীত্বের সঙ্গে যুক্ত না থাকে তবে রজোনিবৃত্তি হে, অব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া?
ডেঁপোমি লগ্নে জন্ম হয়েছিল আগেই বলেছি, তার সঙ্গে কিঞ্চিৎ গোঁয়ার ও গাম্বাট, তাই নিজের ভাগ্যলিপি অন্যভাবে লেখার সাধ জেগেছিল একদিন। সে ছিল একটা গোটা যুগেরও কিছু বেশিকাল আগের কথা, যখন খুবই স্পর্ধিত কোনও মুহূর্তে তৎকালীন প্রণয়িনীর উদ্দেশ্যে এক কাব্য ফেটে বেরিয়েছিল স্বকণ্ঠে’র (‘স্যাফো’ সংগঠনের নিজস্ব পত্রিকা) একটি সংখ্যায়—আর এক চিরযুবতী উভকামীর প্রতি—এই নাম নিয়ে। আজ আবার সেটিকে ফিরে দেখার লোভ হচ্ছেঃ
যেমত ধারণক্ষত বহন করেছ তুমি দেহে
তেমনই চিহ্ন আছে আমার স্খলিত তলপেটে
যেমত এ স্ফীত শিরা
অবনতমুখ ম্লান স্তন
শিশু বা শিশুর পিতা
প্রকাশ্য-গোপন প্রণয়ীকে
সগর্বে করেছে অস্বীকার
তেমনই ও নষ্ট গর্ভ
অনিষিক্ত ডিমের প্রস্থানে
রক্ত-অশ্রু ঝরে না জরায়ু হতে আর
এসো হে মানবী তবে ধুন্ধুমার ভালবেসে
আমরা দুজনে মিলে পূর্ণ করে চলে যাই
জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার...
Tagsadolescence age of consent age of marriage caa child marriage corona and nursing covid19 Covid impacts on education domestic violence early marriage education during lockdown foremothers gender discrimination gender identity gender in school honour killing human rights intercommunity marriage interfaith marriage lockdown lockdown and economy lockdown and school education lockdown in india lockdown in school lockdown in schools love jihad marriage and legitimacy memoir of a nurse misogyny nrc nurse in bengal nursing nursing and gender discrimination nursing in bengal nursing in india online class online classes during lockdown online education right to choose partner school education during lockdown social taboo toxic masculinity transgender Women womens rights
Leave a Reply