04-06-2024 12:28:11 pm
Link: https://ebongalap.org/age-of-marriage-for-girls-arguments-for-the-proposed-law
“কোনো ব্যাপারে আগাম সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর সেই সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠা দেবার জন্য গবেষণা করা উচিত বলেও আমি মনে করি না”। – অধ্যাপক অমর্ত্য সেন।
সারাজীবন ধরে ভুলভাল কাজ করে গেছেন, এমন একজন মানুষ কি বেখেয়ালেও একটা ঠিক কাজ করে ফেলতে পারেন না? কোনো চূড়ান্ত স্বৈরাচারী শাসক কি সম্পূর্ণ স্বার্থবুদ্ধি-তাড়িত হয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না যা উত্তরকালে প্রজাদের পক্ষে কল্যাণকর প্রমাণিত হতে পারে? মনে রাখা দরকার, চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটা ঘড়িও কিন্তু দিনে দু’বার সঠিক সময় দেখায়।
সবার আগে তাই নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, কোনোভাবে আমি ‘জাজমেন্টাল’ হয়ে পড়ছি না তো? কারো সম্পর্কে পূর্বার্জিত কোনো ধারণা আমার মনকে প্রভাবিত করছে না তো? সন্দেহ অবশ্যই রাখতে হবে, কিন্তু সেই সন্দেহের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক সবক’টি দিক সম্পর্কে আমাদের তুল্যমূল্য বিচার করা প্রয়োজন। কারণ, আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই, তাই কোনও রাজনৈতিক দলের পদক্ষেপকেই নিঃশর্ত সমর্থন বা বিরোধিতা করার ব্যাপারে ‘দলীয় নেতৃত্বের কাছে’ আমাদের দাসখত দেওয়া নেই। নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে, এমনকী কোনো মতাদর্শের কাছেও, বন্ধক রাখাটা মোটেও কাজের কথা নয়। তাই কোনো ব্যাপার তলিয়ে ভাবার আগে নিজেকে যেকোন রকম রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার বাইরে, এমনকী যেকোন ইজম-এরও বাইরে নিয়ে যাওয়া দরকার। কাজটা কঠিন, নিঃসন্দেহে। কিন্তু অসম্ভব নয়। নিরপেক্ষতা সাধনালব্ধ ধন। সেই সাধনায় যাদের অনীহা আছে, তারাই সচরাচর বলে বেড়ায় যে, নিরপেক্ষতা বলে কিছু হয় না।
ধান ভানতে গিয়ে শিবের গীতটা একটু দীর্ঘ হয়ে গেল। কিন্তু উপায় ছিল না। ছোটবেলা থেকে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছি। প্রতিটি বিতর্ক সভায় একটি ‘অ্যাজেন্ডা’ অথবা ‘সভার মত’ থাকে, একদল তার পক্ষে যুক্তি পেশ করে, অন্য দল বিপক্ষে। সভার আয়োজকরা থাকেন নিরপেক্ষ। কিন্তু সভার আয়োজকদেরই আগ বাড়িয়ে বিতর্কের পক্ষে বা বিপক্ষে একরাশ যুক্তি পেশ করে ফেলতে – সত্যি বলছি – আজ পর্যন্ত দেখিনি। প্রথম দেখলাম ‘এবং আলাপ’-কেই। মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স একুশ করার সরকারি প্রস্তাব বিষয়ে 'একুশে আইন' নাম দিয়ে একটি বিতর্কের আহ্বান করেছিল ‘এবং আলাপ’। এবং বিতর্ক শুরুর আগেই তাদের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে এই প্রস্তাবিত আইনের বিপক্ষে অনেকগুলি যুক্তি সাজিয়ে দেওয়া হল। এ তো সেই আগাম সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর সেই সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠা দেবার জন্য গবেষণা হয়ে গেল! মনে রাখা দরকার, বিতর্ক বিষয়টাও একরকম গবেষণাই, সত্যের অনুসন্ধান।
আরও একটা ব্যাপার আছে, সেটা কিঞ্চিৎ গভীর। এই যে বিতর্কের মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান, অনেক সময় যথাযথ প্রতিপক্ষের অভাবে সেই কাজটা নিজেকেও করতে হয়। অর্থাৎ আপাতভাবে আমি যে মতের সমর্থক, তার বিরুদ্ধ মতগুলোর অনুসন্ধানও নিজেকেই করতে হয়। নিজেকেই দাঁড় করাতে হয় নিজের বিপক্ষে। মনে পড়ে, কিশোর বয়সে একজন প্রখ্যাত তার্কিকের কাছে একটি পরামর্শ পেয়েছিলুম। তিনি বলেছিলেন, বিতর্কসভায় তুমি যদি মনে মনে অ্যাজেন্ডাটিকে সমর্থন করো, তাহলে বলার সময় বিপক্ষে বলবে। এতে করে, বিরুদ্ধ যুক্তিগুলিকেও নিজের অন্তরে ধারণ করতে পারবে।
তাই খুব ইচ্ছে থাকলেও এই বিতর্কিত সরকারি প্রস্তাবের পক্ষে এবং বিপক্ষে দু’তরফের যুক্তিগুলি নিয়ে চর্চা করা গেল না। কারণ বিপক্ষের যুক্তিগুলি ইতিমধ্যেই শোনা হয়ে গেছে। তাই আপাতত ‘ডেভিলস ল’ইয়ার’ হয়ে এই আইনের পক্ষেই যুক্তিগুলি পেশ করা যাক।
চূড়ান্ত পিতৃতান্ত্রিক এই সমাজকে প্রতি ইঞ্চিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মেয়েরা এগিয়ে আসছে সামনের দিকে। সেখানে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষের বিয়ের বয়সের এই পার্থক্য কেন?
প্রথমেই একটা কাল্পনিক অবস্থার কল্পনা করা যাক। ধরা যাক, এই মুহূর্তে আমাদের দেশে ছেলেদের বা মেয়েদের কারো জন্য বিয়ের কোনো ন্যূনতম বয়সসীমা নেই এবং দেশের সরকার ছেলেদের এবং মেয়েদের বিয়ের জন্য একটি ন্যূনতম আইনি বয়সসীমা স্থির করতে চাইছে। প্রথম প্রশ্ন হল, এখন এই বয়সসীমা কি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে একই হওয়া বাঞ্ছনীয়, নাকি ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা আলাদা বয়সসীমা ধার্য হওয়া উচিত? দ্বিতীয় প্রশ্ন, যদি দুজনের একই বয়সসীমা হয়, তাহলে সেটা কত হওয়া উচিত – আঠারো, না একুশ?
মনে হয়, প্রথমটির প্রশ্নের উত্তরে তো সকলেরই একমত হওয়া উচিত যে ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের বয়স আলাদা হওয়ার প্রয়োজনই নেই, বিশেষত এই একবিংশ শতাব্দীতে, যখন রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক দু-জায়গাতেই নারী পুরুষের সঙ্গে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে। চূড়ান্ত পিতৃতান্ত্রিক এই সমাজকে প্রতি ইঞ্চিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মেয়েরা এগিয়ে আসছে সামনের দিকে। সেখানে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষের বিয়ের বয়সের এই পার্থক্য কেন? বস্তুত, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আঠারোতে আটকে রাখার মূলে যে সামাজিক রক্ষণশীলতাই সক্রিয় ছিল তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আইনের অপপ্রয়োগ এবং তার ফলে ছেলেদের আইনি হেনস্থার ভয় থেকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কা যথাযথ। তবে এখনও পর্যন্ত এদেশে এমন কোনো আইন প্রণীত হয়েছে কি, যার অপপ্রয়োগ হয়নি অথবা হচ্ছে না?
১৯২৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে প্রথম এ বিষয়ে আইন পাশ হয়েছিল। তখন মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ধার্য হয়েছিল চোদ্দ, আর ছেলেদের আঠারো। স্বাধীনতার পরও একাধিকবার সংশোধনের পর শেষমেশ ১৯৭৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে আঠারো এবং একুশ। বোঝাই আচ্ছে, শিক্ষার বিস্তার এবং মানুষের চেতনার অগ্রগতির সঙ্গে তাল রেখেই এই বদল ঘটেছে। একইভাবে আজ মেয়েদের বিয়ের বয়সকে আরো খানিকটা এগিয়ে এনে একুশ করার দাবিটাও — বলাই বাহুল্য — পরিবর্তিত সমাজ এবং সময়ের দাবি। এটা মেনে নিতে আমাদের অসুবিধা কোথায়?
তবু কিছু পালটা যুক্তি এসেছে, সেগুলো একে একে খণ্ডন করা যাক। প্রথমত, আইনের অপপ্রয়োগ এবং তার ফলে ছেলেদের আইনি হেনস্থার ভয় থেকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কা যথাযথ। তবে এখনও পর্যন্ত এদেশে এমন কোনো আইন প্রণীত হয়েছে কি, যার অপপ্রয়োগ হয়নি অথবা হচ্ছে না? তাই বলে গোটাগুটি আইনটিকেই বাতিল করে দেবার প্রস্তাব অনেকটা কোর্ট-কাছারির ঝামেলায় না গিয়ে ধর্ষককে সরাসরি এনকাউন্টার করে দেওয়ার দাবির মত শোনায় না কি?
দ্বিতীয়ত, দাবি উঠছে মেয়েদের জন্য আরও স্কুল, উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা, চাকরিতে সংরক্ষণ, শৌচাগার ইত্যাদি পরিকাঠামো নির্মাণ অনেক বেশি জরুরি। আলবাত জরুরি। এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। সেই ব্যবস্থাদি করার ব্যাপারে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার যে চূড়ান্ত রকম ব্যর্থ সে ব্যাপারেও দ্বিমত নেই। এই দাবিগুলোতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। কিন্তু সেই আন্দোলনের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ের বয়স আঠারোতেই সীমাবদ্ধ রাখার দাবিকে জুড়ে দেওয়া যায় না। দুটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রেক্ষিত। একটি ইস্যুতে সরকারকে সমর্থন এবং অন্য ইস্যুতে বিরোধিতা করা যেতেই পারে।
তৃতীয়ত, বিবাহ, যৌনতার সম্মতি এবং বয়স – এই তিনটি বিষয় নিয়ে জটিলতা রয়েছে। পকসো আইন বলে, যৌন সম্মতির বয়স ষোল। নতুন আইন বলছে, বিয়ের বয়স একুশ। আমাদের সমাজ আবার বিবাহপূর্ব যৌনতাকে স্বীকার করে না। প্রশ্ন উঠতে পারে, এতদিন তাহলে উক্ত ষোল এবং আঠারোর জটিলতাটা কীভাবে সামলানো হয়েছে? আমি একাধিক আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেছি, স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, যৌন সম্মতির বয়সটাকে বরং বাড়িয়ে আঠারো করাই বাঞ্ছনীয়। সামাজিক নয়, শারীরবৃত্তীয় কারণে। পুরুষ-নারী কারোর শরীরই আঠারোর আগে সন্তানধারণের জন্য প্রস্তুত হয় না। তাই আঠারোর আগে যৌনতা বাঞ্ছনীয় নয়, তা সে দাবি যতই ব্যক্তিস্বাধীনতার অন্তরায় হোক না কেন।
দীর্ঘ পনেরো বছরে একাধিক লড়াকু ছাত্রীকে আমি ওই আঠারোর হাড়িকাঠে বলি হতে দেখেছি। তার মধ্যে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে যেমন ছিল, রীতিমত সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েও নেহাৎ কম ছিল না।
অতএব ব্যাপারটা দাঁড়াল এই যে, পকসো এবং ছেলে-মেয়ের ন্যূনতম বিয়ের বয়সের আইন দুটিকে এক্ষেত্রে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। যৌন সম্মতির বয়স আঠারো করা যেতেই পারে, কিন্তু বিয়ের বয়স উভয়েরই একুশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। আঠারোও হতে পারত, কিন্তু তাহলে ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সটা কমিয়ে আনতে হয় – যা আদপেই বাঞ্ছনীয় নয়। বাকি থাকে বিবাহপূর্ব যৌনতা নিয়ে সামাজিক ট্যাবুর প্রশ্নটি। সেই সামাজিক সচেতনতা নির্মাণের দায় আমাদেরই নিতে হবে। শহরাঞ্চলে সিনেমা, গল্প-উপন্যাস, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ইত্যাদি সেই সংস্কারকে কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আশা করা যায়, অনতিদূর ভবিষ্যতে গ্রামাঞ্চলও সেই সংস্কার থেকে মুক্ত হতে পারবে।
বাকি থাকে মেয়েদের আর্থিক স্বাবলম্বনের প্রশ্নটি। দীর্ঘ পনেরো বছরে একাধিক লড়াকু ছাত্রীকে আমি ওই আঠারোর হাড়িকাঠে বলি হতে দেখেছি। তার মধ্যে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে যেমন ছিল, রীতিমত সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েও নেহাৎ কম ছিল না। আপাতত একজনের কথা বলি। তাকে হয়তো আপনারাও চেনেন, কারণ নাবালিকা বিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হিসেবে রীতিমত খ্যাতনাম্নী হয়ে উঠেছিল সে। নাম তার বীণা কালিন্দী। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডী ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েটি তার চোদ্দ বছর বয়সে নাবালিকা বিয়ের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার চালিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। তার উদ্যোগে অনেকগুলো বাল্যবিবাহ রুখে দিতে পেরেছিল প্রশাসন। তার সেই লড়াই রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি লাভ করেছিল। সেই প্রতিবাদী মেয়েটির বয়স আঠারো হওয়া মাত্রই তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বীণা এখন এক সন্তানের মা। যদি আর তিনটি বছর সময় পেত বীণা, আর কিছু না হোক, গ্রাজুয়েট ঠিকই হতে পারত, অথবা একটা সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি ঠিকই জুটিয়ে নিতে পারত। সেইটুকু আর্থিক স্বনির্ভরতার মূল্যই তার কাছে অনেক হত, তাই না?
আসলে আমাদের ভেবে দেখা প্রয়োজন, আমরা সত্যিই আইনটির বিরুদ্ধে, নাকি এ আসলে আইন প্রণেতাদের প্রতি আমাদের অবিশ্বাস প্রসূত বিরোধিতা? সন্দেহটা অমূলক নয়। কারণ কিছুদিন আগে, মুসলিম মহিলাদের একাংশের দীর্ঘদিনের লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়ে যখন তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ হয়েছিল লোকসভায় – তখনো শিক্ষিত-মধ্যবিত্ত সমাজের একাংশের মধ্যে একই রকম বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছিল। সেই বিরোধিতার মধ্যে সারবত্তা বিশেষ কিছু ছিল না। অনেকে দাবি করেছিলেন যে, এই আইন প্রয়োগের আগে বৃহত্তর মুসলিম সমাজের মতামত নেওয়া হয়নি। ব্যাপারটা অনেকটা ‘অকারণ পশুহত্যা বন্ধের আগে বৃহত্তর শিকারী-সমাজের অনুমতি নেওয়া’-র মত হাস্যকর শুনিয়েছিল।
লর্ড বেন্টিঙ্ক যখন সতীদাহ রদ করেছিলেন, তখনও একই যুক্তি দেখিয়েছিল বৃহত্তর হিন্দু সমাজ – ‘আমাদের’ সামাজিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার ‘ওদের’ কে দিয়েছে? তিন তালাক নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেকটা একই সুরে ধর্মতলার জনসভায় দাঁড়িয়ে আমাদের রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি আমার বউকে রাখব না তাড়িয়ে দেব সেটা আমার ব্যাপার, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করার কে?’
মনে রাখা দরকার, সতীদাহ বন্ধ করা বা বিধবা বিবাহ প্রচলন করার সিদ্ধান্ত কিন্তু ‘চরম স্বৈরাচারী’ ইংরেজ শাসকই নিয়েছিল।
মতামত ব্যক্তিগত
Link: https://ebongalap.org/age-of-marriage-for-girls-arguments-for-the-proposed-law