07-03-2024 12:48:46 pm
Link: https://ebongalap.org/khobore-gender-3
গ্রামের মেয়েরা ফুটবলে খুঁজে পাচ্ছে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস
ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত হুতুপ গ্রামের মেয়ে ১৭ বছরের নীতা কুমারি। তিন দিদির আঠারো বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে গেলেও নীতার চোখে এখন স্বপ্ন অটুট। স্বপ্ন পড়াশুনা করে সাংবাদিক হওয়ার। আর আছে নেশা, ফুটবলের নেশা।
নীতার মতো ঝাড়খণ্ডের গ্রামের বহু মেয়েরা লড়াইয়ের নতুন রসদ খুঁজে পাচ্ছে ফুটবল খেলার মাধ্যমে। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে রাজ্যে দশজনের মধ্যে ছ’জন মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয় আঠারোর আগে, সেই ঝাড়খণ্ডে মেয়েদের ফুটবল খেলা দিবাস্বপ্ন মনে হলেও সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা Yuwa। ২০০৯ সাল থেকে কাজ শুরু করে আজ Yuwa প্রায় ৩০০ জন মেয়েদের ফুটবল ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করেছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৮০ জন সংস্থার স্কুলে পড়াশুনাও করে।
নীতার মতো রাধাকেও সমাজের সাথে লড়াই করবার মঞ্চ দিয়েছে এই ফুটবল। ১২ বছর বয়স অবধি রাধা স্কুলের গণ্ডী পেরোতে পারেনি। এমন সময় সে Yuwa-র কথা শোনে এবং ফুটবলের দলে যোগ দেয়। আত্মীয়স্বজনের কাছে বিভিন্ন বিদ্রূপ, তাচ্ছিল্য শুনতে হলেও রাধা খেলা চালিয়ে যায়। এখন ১৪ বছর বয়সে রাধা, সংস্থায় ফুটবল কোচ হিসাবে কাজ করে এবং নিজের পড়াশুনার খরচ তোলার জন্য আরও ছোট মেয়েদের ফুটবল শেখায়। ঝাড়খণ্ড থেকে Yuwa-এর টীমের সাথে স্পেনে গিয়ে ফুটবল খেলে আসা রাধার স্বপ্ন বড় হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
তথ্যসূত্র - টাইমস অফ ইন্ডিয়া
ইগনুতে বিনামূল্যে পড়াশুনা করতে পারবেন রূপান্তরকামীরা
এখন থেকে ভারতের বৃহত্তম মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটিতে (ইগনু) যেকোনো বিভাগে যেকোনো কোর্সে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভর্তি হতে পারবেন রূপান্তরকামীরা। রূপান্তরকামীদের পঠনপাঠনের জন্য কোনরকম ফি দিতে হবে না। তবে আবেদনের সময় রূপান্তরকামী হিসাবে বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। গত ২৯ জুনের এই ঘোষণা দেশের সমস্ত মহল থেকেই সাধুবাদ পেয়েছে।
রূপান্তরকামী মানুষদের শিক্ষাব্যবস্থার অংশ করে তোলার জন্য ইগনু পাঁচ বছর আগেই এক সদর্থক উদ্যোগ নেয়। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণার দু’ বছর আগে ২০১২ সালেই ইগনু তাদের আবেদনপত্রে ‘লিঙ্গ’-এর জায়গায় ‘অন্যান্য’ অপশনটি যুক্ত করে। সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইগনু কর্তৃপক্ষের কাছে রূপান্তরকামীদের কিছু কোর্সে ভর্তি করার আবেদন জানায়, এবং সেই উদ্যোগ খুবই সফল হয়। তখনই রূপান্তরকামীদের ফি পুরোপুরি মকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ইগনু-এর বেনারস ও চেন্নাইয়ের সেন্টারেও রূপান্তরকামীদের জন্য ফি-তে ছাড় দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিছুদিন আগে ইগনু-এর কোচির সেন্টারে রূপান্তরকামী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামেরও আয়োজন করা হয়।
তথ্যসূত্র - দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
মাসিক নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা বাবার সাথে
প্রথমবার মাসিক হওয়ার পর সমস্ত পরিবারেই মেয়েদের এই বিষয়ক যাবতীয় প্রশ্ন, সমস্যা যতটা সম্ভব গোপন রাখতে শেখানো হয়। এবং পরিবারের পুরুষদের সাথে এবিষয়ে আলোচনা দূরস্থান, মাসিকের মতো স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়ার অস্তিত্বও যতটা সম্ভব লুকিয়ে রাখতে শেখানো হয়, সেই পুরুষ যদি মেয়েটির বাবা হয়, তাহলেও।
সমাজের এই স্থিতাবস্থাকেই নিজের ছোট পরিসরে ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছেন গুড়গাঁওয়ের সত্যবীর। সত্যবীর নিজের দুই মেয়ের সাথে মাসিক এবং সংশ্লিষ্ট সকল সমস্যার ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা করেন এবং মেয়েরাও তাদের যেকোনো সমস্যা তাদের বাবাকে এসে জানাতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
যদিও সত্যবীর নিজের এই পদক্ষেপকে খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখেন। সত্যবীরের মতে, তিনি শুধুই বাবা হওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্ত্রী এই বিষয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় সত্যবীরকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। সত্যবীরের মেয়েদের যখন প্রথম মাসিক হয়, তখন সত্যবীরই তাদের এর ব্যাপারে বুঝিয়ে বলেছিলেন। মাসিকের সময় কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, কেন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে সত্যবীরের মেয়েরা প্রথম পাঠ পেয়েছিল তাদের বাবার থেকেই।
সত্যবীর মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন নিজেই কেনেন। সত্যবীর মনে করেন, যারা মাসিকের মতো জরুরি শারীরিক ক্রিয়াকে লজ্জার মোড়কে ঢেকে রাখতে চায়, তাদের এই বোকামোর জন্যেই লজ্জা পাওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র - ইউথ কি আওয়াজ
Link: https://ebongalap.org/khobore-gender-3