জেন্ডার সহায়িকা : ফেব্রুয়ারি'১৯
0 102জেন্ডার সহায়িকা । ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ।
স্পটলাইটে অন্ধ ও দুর্বল দৃষ্টিসম্পন্নদের পড়াশোনার জন্য ভারতের অনলাইন লাইব্রেরি 'সুগম্য পুস্তকালয়'; প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জীবনে সফল হওয়ার কথা নিয়ে বই 'ওয়ান লিটল ফিঙ্গার'; এক 'অদৃশ্য' ডিসেবিলিটি-র রূপায়নে মিক্সড মিডিয়া আর্টওয়ার্ক 'এসেনশিয়ালি নর্মাল স্টাডিজ'।
সুগম্য পুস্তকালয়
সুগম্য ভারত অভিযান-এর উদ্যোগে, ডেইজি ফোরাম ফর ইন্ডিয়া-র তৈরি সুগম্য পুস্তকালয় একটি বিশেষ অনলাইন লাইব্রেরি, যা বই-এর সম্ভার পৌঁছে দেয় ভারতের ভিস্যুয়াল এবং প্রিণ্ট ডিসেবিলিটি আক্রান্ত মানুষদের কাছে। সহজে পাওয়া যায় এমন ফরম্যাটে (ডেইজি, ইপাব, বিআরএফ ইত্যাদি) বইপত্রের সংস্করণ নিয়ে তৈরি এই অনলাইন গ্রন্থাগারে একদিকে একইসাথে প্রচুর বই এবং তার সঙ্গেই দুর্বল দৃষ্টিশক্তি বা দৃষ্টিহীন মানুষ যারা সাধারণ ছাপার অক্ষরে বই পড়তে পারেন না, তাঁদের বিশেষ পদ্ধতিতে সেই বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিণ্ট ডিসেবিলিটি সম্পন্ন মানুষদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম উদ্যোগ বুকশেয়ার-ও এই সুগম্য পুস্তকালয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুকশেয়ারে ভারতের জন্য অনুমোদিত যাবতীয় বই সরাসরি সুগম্য পুস্তকালয়ের সাইট থেকে ডাউনলোড করা ও পড়া যায়।
সূত্র: http://www.daisy.org/daisypedia/sugamya-pustakalaya-online-library-accessible-books-in-india
ওয়ান লিটল ফিঙ্গার / মালিনী চিব
সেজ পাবলিকেশন / দিল্লী
ওয়ান লিটল ফিঙ্গার। কড়ে আঙুলের জোরে থেমে থাকা শরীরকে আর চারপাশের থামিয়ে দিতে চাওয়া সমাজকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার গল্প। ২০১১ সালে দিল্লীর সেজ পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত বইটি লেখিকা মালিনী চিব-এর আত্মজীবনী; শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বাধা টপকে তাঁর গড়ে ওঠার কাহিনী। ধীরে ধীরে নিজেকে শিক্ষিত করা, কড়ে আঙুলের সাহায্যে টাইপ করতে শেখা এবং লাইটরাইটারে কথা বলার তালিম নিতে নিতেই সমাজের উপেক্ষা আর নিস্পৃহতার জবাব দিয়েছেন মালিনী। এই বই সেই লড়াইয়ের দলিল। মালিনী চিব এখানে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত কোনো ‘প্রতিবন্ধী’ নন, বরং প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এগিয়ে আসা একজন সফল এবং আত্মবিশ্বাসী ইভেণ্টস ম্যানেজার, বর্তমানে অক্সফর্ড স্টোরে কর্মরত এবং একইসাথে মুম্বই-এর ADAPT (Able and Disable All People Together) Rights Group এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সক্রিয় কর্মী। শরীরের প্রতিবন্ধকতা তুচ্ছ করে জীবনে তাঁর এগিয়ে চলার, লড়াই করার, সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার কাহিনী ‘ওয়ান লিটল ফিঙ্গার’-এর পাতায় পাতায়। তার সঙ্গেই আছে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, ভারত ও লন্ডনের শহরের পরিবেশে তাঁর বাস্তবতা ও তাঁর অভিজ্ঞতা। আমাদের এবারের জেন্ডার সহায়িকায় পাঠকের জন্য আমাদের নির্বাচন মালিনীর এই বইটি।
উৎস : https://us.sagepub.com/en-us/nam/one-little-finger/book236822
এসেনশিয়ালি নর্মাল স্টাডিজ / দেবিকা সুন্দর
মিক্সড মিডিয়া আর্টওয়ার্ক
‘অদৃশ্য’ যন্ত্রণাকে দৃশ্যে রূপ দিতে চেয়েছিলেন ব্যাঙ্গালোরের দেবিকা। যে যন্ত্রণায় প্রতি মুহুর্তে কাতরেছেন তিনি, অথচ চিকিৎসক থেকে শুরু করে আশেপাশের সকলেই আপাতভাবে শরীরে অদৃশ্য সেই অসুখকে কোনো স্বীকৃতিই দেননি, নিজের কাজ এবং শিল্প দিয়ে তাকেই রূপায়িত করেছেন এই তরুণ শিল্পী। প্রায় ৩০ টির বেশি পেইণ্টিং, ড্রয়িং, সিল্কস্ক্রিন প্রিণ্ট, লাইটবক্স ইনস্টলেশন এবং ভিডিও ইনস্টলেশন নিয়ে তাঁর কাজ ‘Essentially Normal Studies’। সৃষ্টি ইনস্টিটিউট অব আর্ট ডিজাইন এন্ড টেকনোলজির ছাত্রী দেবিকা সৃষ্টির প্রেরণা পেয়েছেন নিজের ‘ডিসেবিলিটি’ থেকে – চূড়ান্ত শারীরিক যন্ত্রণা অথচ শরীরে যা দৃশ্যমান নয়, এমন অসুখ ফাইব্রোমায়েলজিয়া এবং মায়োফ্যাসিয়াল পেইন সিনড্রোম-এ আক্রান্ত দেবিকা-র ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশের এমআরআই এবং এক্স-রে স্ক্যান রিপোর্ট ঘিরেই তাঁর ছবি, তাঁর ভাষা, তাঁর শিল্প ফুটে উঠেছে।
২০১৮-র অক্টোবরে ভারতীয় মায়োপেইন সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে বক্তা হিসেবে এবং নভেম্বর মাসে ব্যাঙ্গালোরের গ্যালারি সুমুখ-এ তাঁর এই কাজের প্রদর্শনী হয়ে গেছে। তাঁর ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/Devikasundarart/) থেকে তাঁর কাজের বিষয়ে আরো অনেকটা জানা যায়। দিনের পর দিন যন্ত্রণায় কাটানোর পরেও চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ‘নর্মাল’ দেবিকা-র অদৃশ্য ‘ডিসেবিলিটি’ কথা বলেছে তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে। কীভাবে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর বোঝা তাঁকে শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেছে, ‘Essentially Normal Studies’ তার জ্বলন্ত সাক্ষ্য।এই কাজের অংশ ভিডিও ইনস্টলেশনটি সরাসরি দেখা যাবে এই লিঙ্কে https://player.vimeo.com/video/291337288।
উৎস :
https://www.thehindu.com/entertainment/art/invisible-made-visible/article25426232.ece
https://medium.com/skin-stories/essentially-normal-studies-5fa651c0af8
('এসেনশিয়ালি নর্মাল স্টাডিজ' অংশে ব্যবহৃত ছবিগুলি দেবিকা সুন্দর -এর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)
Tagsadolescence age of consent age of marriage caa child marriage corona and nursing covid19 Covid impacts on education domestic violence early marriage education during lockdown foremothers gender discrimination gender identity gender in school honour killing human rights intercommunity marriage interfaith marriage lockdown lockdown and economy lockdown and school education lockdown in india lockdown in school lockdown in schools love jihad marriage and legitimacy memoir of a nurse misogyny nrc nurse in bengal nursing nursing and gender discrimination nursing in bengal nursing in india online class online classes during lockdown online education right to choose partner school education during lockdown social taboo toxic masculinity transgender Women womens rights
Leave a Reply